বেকারের সখ ছিল অনেক... ভাগাড়ে গন্ধ শোঁকে কুকুর
এখন বৈশাখ মাস, আমিও কাটাই উড়নচন্ডে দুপুর।


একটা-দুটো নয় ছ-ছটা কচি মুখ, লোকে বলে, আসলে বৌটারই পাপ
উনুন প্রতিদিন জ্বলে না ঠিকমতো, যদিও বম্বেতে থাকে জন্মদিনের বাপ।


বিকার রক্ত-মাংস খুঁজছে সেইরকম--কাঁঠালের আমসত্ত্ব বা সোনার পাথরবাটি
সংবাদ দেরিতে আসে নায়িকার, টুকরো টুকরো ছড়ানো মন-বনস্পতি।


অশ্বথ্থ'রা বৃদ্ধ এখন, মাঠে এখনও লাঙ্গল টানে গরু
হিসেব গুনে অর্থমন্ত্রক, সেই কবে থেকে--এই তো সবে শুরু।


ব্রম্ভতালু চাটছে অফিস, কখনও রাত্রির নাম ছিল রজনী
দেখলে ইচ্ছে করে আজও, বন্ধুরা যাকে বলত আমার সহধর্মিণী।


আট থেকে আশি সবাই 'আস্তে দাদা'--সং-সংস্কৃতির হংসচঞ্চু চিরে
খাবি খেতে খেতে ছুটছে শহর, ঘামের রাস্তারা তবু ফুরফুরে।


মারা গেছে কেউ নিতান্তই ফেউ, সে উপলক্ষে মদের ফোয়ারা
মুখে--'বল হরি হরি বোল', উৎসবে ওড়ে ভয়ার্ত সাদা পায়রা।


বৃথাই সব স্কুল খোলার বদভ‍্যেস, বইগুলোকে খেয়ে ফেলছে উই
চিড়িয়াখানা মানে অবাক-ছোটবেলা, ক্ষমতা-বিধান কাটছে ফিতে দিচ্ছে ধানে মই।


আঁশবঁটিতে গোঁফ কেটে সুরেরা নিরামিষ, শশ্মান কালীর হাতে ছাল ছাড়ানো আতা
সিরিয়াল যুগে সন্ধ্যা আকাল, দেশ গড়ে চলেছেন তার-কাটা বাবা।


সরকারি জিনিস মানেই বেড়ে--মাস ফুরোলেই হাতে হাতে আর নাকে সরষের তেল, সহায় শ্রীহরি
পকেটের কাছে গড়ের মাঠ, উড়ছে কত লেজ কাটা বানর ডানা কাটা পরী।


ঘড়ির ঢঙে ছুটছে আজও সময়/অসময়, অন্ধ ভাতের থালায় খুঁজে বেড়ায় মেনু
বাতিল হয়েছে রাধা, চাঁদ ফেলে মহর্ষিরা ধরতে গেছেন রামধনু।


বিশ্বাস করি বা না-করি, ভুল ছিল না ভিড়ের, বলতে চাওয়া বিক্ষোভ-কথা
যত অধিকারই থাক, উদ‍্যানে কেন চিরকাল বসন্ত থাকবে একা?