এতো সময় কোথায় তোমাকে নিয়ে ভাবার, এইতো ক'দিন আগে লিখলাম তোমার আত্মহত্যা নিয়ে তড়িঘড়ি পড়িমরি অবস্থায়, লেখাটা ভাইরাল এখন, তোমার আত্মহত্যা ভাইরাল হলো, এরইমধ্যে বর্ষাঋতু এলো, আর কতদিন এভাবে থাকা যায়, একটা বর্ষা চলে যাওয়া মানে অনেক ক্ষতি, লেখার উৎপাদন কমে যায় খুব, তাছাড়া আমাকে সবার মৃত্যু জন্ম হিসুকরা হাইতোলা বদহজম ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে লিখতে বলা-ভালো প্রতিবাদ করতে হয়, যেহেতু সবকিছুর ঠেকা আমি নিয়েছি যেহেতু আমি ভালো লিখতে পারি, তুমি অনেক দূরের তারা, দুজনের কেউ কাউকে চিনি না তবু তোমাকে নিয়ে লিখলাম, দেশ উদ্ধার করে দিলাম, কিন্তু তোমার মৃত্যু নিয়ে কতদিন এভাবে বসে থাকা যায়, যদিও কেউ আমাকে তোমার মৃত্যু ধরতে বলেনি তবুও বিবেকেরতো একটা তাড়না থাকে, আমার তাড়নাটা একটু বেশিই, এদিকে আমি আবার এইসব অন‍্যায়-টন‍্যায় একেবারেই সহ‍্য করতে পারিনা, প্রতিবাদ আমাকে করতেই হয়, কিন্তু আমার আরও অনেক কাজ আছে, সময়সূচি ঠিক করা আছে, আমাকে অন‍্যকিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, না হলে চারপাশ সব ভেসে যাবে নিশ্চিত,  তোমার মৃত্যু নিয়ে না লিখলে সমাজের বিরাট একটা ক্ষতি হয়ে যেতো, আমি ছাড়াতো তেমন কেউ নেই লেখার, তাছাড়া সমাজ নিয়ে আমি খুবই ভাবি, তাই, দূরের বন্ধু তোমাকে যতটা পারলাম সময় দিলাম, কিন্তু তোমার মৃত্যু নিয়ে কতদিন এভাবে বসে থাকা যায়, আমার এখন অনেক কাজ, তুমি শান্তিতে থাকো, তোমার মৃত্যু লিখে পোস্ট করার পর, দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় কিলবিল করতে থাকে, তোমার মৃত্যু আমাকে থমকে দেয় না, অনায়াসে কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরবর্তী রম‍্যরচনা সকল পোষ্ট করি নিজস্ব দেওয়ালে নির্দ্বিধায়, এইভাবে আমার সৃষ্টি এগিয়ে যেতে থাকে, আমিও, এইভাবে তোমার মৃত্যু নিয়ে লেখার কোন যুক্তি খুঁজে পাইনি, তবু লিখলাম, লেখার সংখ্যা বাড়লো একটা, বাহবাও পেলাম 'অসাধারণ' 'আপনি ছাড়া এভাবে কেউ লিখতে পারতো না' 'অন্তরের অন্তস্থলের অন্তস্থলের কথাটা আপনি বলে দিলেন' 'অতি অনবদ্য' ইত্যাদি পেলাম অনেক, আমার উদ্দেশ্য বেশ সফল, সাফল্যের পর আমি লাজুক হাসি পোরে পরবর্তী উদ্যোগে তৎপর হই, আর আমার জনপ্রিয়তা বেড়ে যেতে থাকে।