প্রিয় আহাম্মক,
                সবিনয়ে বলি, অবেলায় স্নানাহার স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ ভালো নয়, একা থাকো ব'লে কি ইচ্ছে-খুশি চলবে, চেষ্টা করো একটু রুটিন মেনে চলার! বাইরে বেরাও যখন একটু সভ‍্য হয়ে বেরিও, তোমার বয়সে অনেকেই প্রেমে ছ‍্যাঁকা খায় সুতরাং চুল দাড়ি নিয়মিত কেটে শহীদভাব ত‍্যাগ কর। চোখের নিচে কালি পড়েছে, রাত জেগে জেগে ফোনে কি অতো ইলিবিলি করতে থাক! বেলা বারোটা পর্যন্ত না ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে ব্রেকফাস্টটা ধরার চেষ্টা করতে পার। মাঝেমধ্যে হোক আর যাইহোক ওসব ছাইপাঁশ না খেলে কি চলছে না! নেশাখোর নও জানি তবু ওসব থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। লেখাপড়ায় মন দাও, আজকাল দেখছি খুব সাহিত্য কপচাচ্ছ, লক্ষণ বিশেষ সুবিধের নয়। চাকরি পেতে হবে, বাড়ির দায়িত্ব নিতে হবে, ভুলে যেওনা তুমি কোন পরিবার থেকে উঠে এসেছ। একটু সচেতন হও, নিজেকে অতো কবি সুলভ অবাধ্য স্বাধীন প্রবাহে ছেড়ে দিয়ো না। আশাকরি কথাগুলো মনে রাখবে আর বত্রিশের মধ্যে বিয়ে করতে হবে সেটাও মাথায় থাকে যেন।
                                          ইতি
                                      সচেতন আমি


প্রিয় সচেতন আমি,
                 অসংখ্য উপদেশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বিনীতভাবে তোমাকে বলি, আমার বয়ে গেছে, আমি ইচ্ছে খুশি চলব, তেমন হলে কবিতাও লিখব। আর বত্রিশ কেন, বিয়ে করতেই হবে এমন মাথার দিব‍্যি আমি কারো থেকে চাইনি। তবে হ‍্যাঁ, দায়িত্ব কিছু নিতে হবে, সেটা নেব। সুতরাং যাইভাব আর তাইভাব আমি থাকব আমাতেই, তুমি খুব ভাল থেকো তোমার কেরিয়ার নিয়ে।
                                             ইতি
                                      হতভাগ্য আহাম্মক


    [চিঠির চল নেই আর, নিজেকে হয়ত লেখা যায়]