কল্পনার ‛মানসী’ বাস্তবে চোখে পড়ে না আর
যেন শূন‍্য মাঠ আঁকে লক্ষীর আল্পনা।
তুমি আজ আর কবির কল্পিত সুন্দরী নও
আজ তুমি ফেসবুক ,হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকের
ঠোঁটে রং মাখানো নর্তকী।
নতুন নতুন ফুলের ঘাড় মটকে
তোমার নোংরা চুলের শোভা বাড়াও।
আর শুকনো হলেই ফেলে দাও আস্তাকুঁড়ে।
এক অগভীর সমুদ্র। যার ঢেউ কোনোদিন
কিনারা পৌঁছাতে পারে না।
কামাতুর চোখের প্রণয়িনী;
শুনতে চাও গ্রীষ্মের দাবদাহে কোকিলের ডাক।
তোমার রোদ্দুর পার হবার বাসনা
দুই পদক্ষেপে।
কুৎসিৎ যৌনাচারে পেতে চাও প্রেমের স্বাদ।


আর মোহ-আসক্ত নির্বোধ পুরুষ–
শামুকের শরীরে খোঁজে লাল রক্ত,
স্টেথোস্কোপে শোনে মৃতদেহের হৃদস্পন্দন।
জোনাকির আলোয় দেখতে চায়
সারা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড।
কোন পুরুষ চরিত্রহীন, প্রতারক,লম্পট
আমি জানি না;আর জানতে চাইও না।
কিন্তু যে নয়,
তুমি তাকে ঠকালে কেন?
যে প্রেমিক এ কূল থেকে ডাক দিলো
.....মানসী ........মানসী .......মানসী...
ও পার থেকে পেল না সাড়া।
যে প্রেমিক দিনের স্বপ্ন দেখলো
রাতের পর রাত জেগে।
তার স্বপ্ন ভাঙলে কেন?
তুমি তার কী জবাব দেবে?
কী উত্তর দেবে তাকে!


খুবই লজ্জিত হয় সে যখন দেখে–
যুগের লেহনীয় শিখায় দহন করছো নিজেকে,
নরকের অগণিত পুরুষ
তোমার নাভির গন্ধ শুঁকে ফিরে।
সভ‍্যতার হাতের পুতুল হয়েছো তুমি
আজ তুমি বুঝতে অপারক
এ দেবীবরণ না বস্ত্রহরণ।


                ************