ক্ষমা কর আমায়।
খুবই লজ্জিত আমি,
আত্ম চিত্তের অন্ধকার
ঐ প্রকোষ্ঠের প্রাচীর ভেধ করে, তোমার পাশে দাড়াতে পারছি না বলে,
আমায় ক্ষমা কর।


তোমার জন্য দু-কলম লিখতে পারছি না বলে,
ভীষণ লজ্জিত আমি।
তোমাকে ন্যায় বিচার
পাইয়ে দেবে অতো শক্তি বা প্রজ্ঞা আমার কলমে সত্যিই নেই!
খুবই অপারগ-দূর্বল-আসহায়, আমার ঠুনকো জ্ঞান!
তোমার জন্য দুটো লাইন লিখতে পারছি না তাই,
তুমি ক্ষমা কর।


আজ আমি লজ্জাবোধ করছি,
তোমার পাশে দাড়াতে শিক্ষিত হতে পারিনি বলে।
পৃথিবী যখন অন্ধকারে আচ্ছাদিত হয়ে, আলোহীন হয়।
যখন সমস্ত নগরী অঘোর নিদ্রায় শায়িত হয়,
তখন; বিবেকের দরজায়
তোমার জন্য দু-ফোঁটা জল ফেলা ছাড়া কি আর করতে পারি আমি?
আর কি ইবা করার আছে!
আমার কলম যে অটিমে আক্রান্ত।


জানি;
তুমি হয়তো অভিশাপ দিচ্ছ আমাদের।
অভিশাপ দিচ্ছ এই স্বার্থ সন্ধানী, নোংরা-পঁচা নর্দমায় ডুবে থাকা সমাজকে।
তোমার ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত
গলা কাঁটা সেই আত্মা
হয়তো আজ দ্বারে দ্বারে কড়া নাড়ছে,


"কেউ আছেন?
আমি সেই তনু বলছি
ভিক্টোরিয়া কলেজের,
ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের;
সেই তনু..?
চিনতে পারছেন না!
চিনবেন কি করে বলুন;
ওরা যে আমার সুন্দর-সুললিত
কন্ঠটাকে কেটে ফেলেছে,
জবাই করেছে!


এমন ফুলের মত নিষ্পাপ, আমার আদুরে চেহারাটা
দুমড়ে-মুচড়ে-থেঁৎলে বিভৎষ করেছে তারা!


আমার বস্ত্র টাও.... ছিঃ!!
এত নির্মমতা!
এত্তো বর্বরতা!
পাশবিকতার সীমা আর কত টুকু?


হায়!
এই দুর্মূল্যের বাজারে নারী আর
মৃত্য এত সস্তা?
টিউশনি শেষে আমার আর বাসায় ফেরা হল না,
আর ফিরব না কোন দিন!
মনে মনে ভীষণ খুশী ছিলাম সে দিন।
ভেবেছিলাম কাল নতুন জামাটা পড়ে কলেজ যাব।


আম্মুকে বলে রেখে ছিলাম,
শেলাই দোকান থেকে জামাটা এনে রেখো কিন্তু?
সেই জামাটা আর পরা হলো না...
এটা তোমাদের জন্যই রইল।
ঐ নর পিশাচ গুলোর নিল্লজ্জতা গুলো পারলে একটু ঢেকে দিও
এই জামায়।"