আমার তখন বাইশ,
তোমার সবে মাত্র ঊনিশ,
নব্য সাবালক দুটি প্রানে
রোমাঞ্চ ফিসফিস।
প্রথম দেখায় বিমোহিত
ধুকুরপুকুর মন
তোমার অকর্ষিত পতিত জমিন
আমার প্রথম পদার্পণ।
প্রথম প্রেমের উম্মাদনায়
বেশামাল ব্যস্ততা,
এলোমেলো ঘোরাঘুরি
আর সুখ অভিজ্ঞতা।
যেখানে তোমার চুলের ঘ্রাণে
আমার শরীর ঘামে,
তোমার চোখের নিবিড় ভাষায়,
ঠোঁটে আর্দ্রতা নামে।
একদিন ভোরে হাতে রেখে হাত,
তুমি আমি মুখোমুখি,
চোখাচোখি প্রেম আবিষ্কারে
আমরা দু’জনই সুখী।
হঠাৎ খেলালি ঝড়ের তোড়ে
সবকিছু ছারখার
তোমার আমার অন্তরঙ্গে
দূরত্বের অভেদ্য পাহার।
তারপর বহুকাল মনের শাবল খন্তা যোগে
আমি নিত্য পাহাড় কাঁটি,
অভেদ্যতা পাহাড়ে আমি
সান্নিধ্যের সুরঙ্গ আঁটি।
কত প্রতিক্ষায় কাঁটিয়েছি
আমার নির্ঘুম ভেজা রাত,
হৃদ পিঞ্জরে যতনে জমিয়েছি
অজস্র স্বপ্নসাধ।
অবশেষে ফিরে এলে
তিন বসন্ত পরে
বৃষ্টিস্নাত মেঘলা দুপুরে
আমার শুন্য ঘরে।
অশ্রুবিন্দুর গড়ানো ফোঁটায়
অতীতটাকে খোঁজা,
ফেলা আসা ক্যানভাসে ডুবে
আগামীর ভাষা বোঝা।
আবার দুজন হাঁটি...
ফাঁকা রাস্তায় বৃষ্টিতে ভেজা
আর নাছোড়বান্দা সুখ,
পূর্ণাঙ্গতার আলিঙ্গনে
তৃপ্তি হাসিমুখ।
মাঝের তিনটা বসন্ত ছিল
পূর্ণতার অঙ্কুরোদয়ের কাল
বিস্তর ব্যবধানে আঁকি আমি
যৌবনের নতুন সকাল।।