সেদিন মননের কল্পনীড়ে সেথা শেষবার এসেছিলে!
মাঘী সন্ধ্যায় সবিনয় শঙ্খিনীর কূলবর্তী
বিরহী কুয়াশায় ব্যাপ্ত একটা প্রবীণ মেঠো পথের সীমান্তে।
ঐ ঘাটের পথটা চেনে না কেউ,কারো মনে নেই, কেউ জানে না।
আরো একবার সূর্যোদয়ের প্রভাতী উৎফুল্লতায়
নবজাত শিশিরগুলোর কীরকম সুনগ্ন স্পর্শ
অনাচ্ছন্ন পায়ে লেপে-লেপে হাঁটতে-হাঁটতে পরিশেষে
আবিস্তৃত সেই বর্ণনাহীন চির অক্ষুণ্ণ ঘাট অবধি আমি
বেকসুর বিসর্জনে বিরামহীন বেগে গিয়েছিলাম;
তবু জীবন দৈবাৎ শোনালো তাঁর বিনাশী জোয়ারের
বিরাট বিভ্রাটময় নিষ্ঠুর সব তাগাদা।
অতঃপর জ্বরাক্রান্ত মনে এক 'ময়ূরপঙ্খী' পবন কাঁধে
তথাকথিত অসময়ে দাঁড় টানতে হলো ব'লে
সময়ের গতানুগতিক খেয়ায় বহু দূরে ভেসে গেলে তুমি;
হাত দুটো পেলো না দু-জোড়া কাঠের চুড়ি।