সেদিন ভালোবাসা একমাত্র তার ।
সেদিন ধমনী র উত্তেজনা কানে পৌঁছতো,
শরীর এর রোম ও ছিলো সজীব-
জেগে জানাতো বেঁচে থাকার অদ্ভুত এক অনুভূতি।
সেদিন অনেক কিছুই করা হয়নি- অথচ ছিলো প্রতিভার প্রাচুর্যতা,
ভগবান ও বুঝতে পারেনি , এতো প্রতিভা
অযথা নষ্ট হবে নিছক ধারাপাতে।
কিন্তূ কোনো গ্লানি ছিলোনা তার জন্য ।
আমার সব কিছুই সেদিন রাখা ছিলো শুধু তাঁর জন্য,
অবশ্য যথার্থ হতো যদি শিরার টান ছুতে পারতো তাকেও,
শরীরের উত্তেজনা যে শরীরের বাইরে বের হতে অক্ষম।
আমার আবেগ সন্মান পেলেও তাঁর কাছে ভবিষ্যৎই ছিলো সবার আগে -
ঠিক যে ব্যাপারে আমার ভবিষ্যৎ ছিলো  সম্পূর্ণ নিরুত্তাপ ।
ওদিকে প্রতিভার নাড়াচাড়া হচ্ছিলো মাত্র
খুব কাছের গুণীদের প্রশংসাতেই সে ছিলো সর্বাংশ সন্তূষ্ট,
ফল ও ছিলো নির্ধারিত
আমরা দুজনে কখন নিজেদের রাস্তায় আলাদা হলাম তা ঠাওর করাও মুশকিল,
কোনো একদিন কোনো এক সুপাত্রে র হাতে তাঁর হাত পড়েছিলো সে খবর
খুব নিজের লোক মারফত ঠিক সময়-ই পৌঁছেছিল আমার হাতে,
এদিকে আমি কোনও রকমে সমাজে সন্মান সুরক্ষিত করতে পারছিলাম,
অবশ্য এর জন্য পরিশ্রম কিছু কম ছিল না-
কিন্তূ কোনো গ্লানি ছিলোনা তার জন্য ।
প্রতিভা গুলো ঘুমাতে দেয় না এখন রাতে ,
আপসোস এর তীর ছুড়তে থাকে,
বলার চেষ্টা করেছি , এই তীর এ আগে কেন হয়নি বিদ্ধ ,
বলতে পারিনি নিঃশব্দ লজ্জায়,
অনেক দিন পর এক উৎসবে হঠাৎ দেখা পেয়েছিলাম তাঁর ,
একমুহূর্ত সামনে,
সেদিন তাঁর চোখ বলতে চেয়েছিলো অনেক কথা
তার শিরার টান আমি অনুভব করেছিলাম, ওরা বাইরে এসেছিলো সেদিন।
সেদিন আমার কাছে তাঁর আর আমার প্রতিভার জন্য
ছিলো সুদীর্ঘ এক সহানুভূতি।
মাত্র সহানুভূতি,
কিন্তূ  কোনো  গ্লানি ছিলোনা তার জন্য।।