তোমাদের রক্ত কে সেলাম।
রক্ত আমারও ছিল -
কিন্তূ পারিনি তোমাদের মতো ঝরাতে ,
১৯৪২, প্রত্যেকের একটাই উদ্দেশ্য- তোমরা বাঁচবে তোমাদের মতো,
তাই মরতে ছিলে তৈরী সেদিন।
তোমাদেরও বাড়ি ছিল, ছিল স্বজন
কিন্তূ ,  দেশ- জাতি -সন্মান ,  ছিল সবার আগে প্রয়োজন।
গুনতে রক্ত হারালে , গুনতে যাইনি
কত দেহ পায়নি আগুন , পায়নি মাটি , তার সংখ্যা পাইনি!
অবশেষে ১৯৪৭ , এলো সেই দিন , এলো স্বাধীনতা।
-- তোমাদের  রক্তে ভরাট হয়েছে সহস্র সোনার কবিতা,


পার করেছে 'বীর' মাত্র কিছু বছর স্বাধীনতা -
এরই মধ্যে লুটিয়েছে জাতীয়তা-বোধের মাথা ,
হে 'বীর' পারে কি দিতে জোগান রক্তের, তোমাদের অশরীর আত্মা।
আমাদের রক্ত বিষাক্ত - শুধু জানে ভরাতে নিজের ঝুলি-
এ রক্ত দূষিত , জানে-না  শিক্ষার বুলি,
আখের গোছাতে ব্যস্ত যখন , তারই মাঝে -
উল্কা এনেছে কিছু দ্যুতি।
তাঁরা ওঠে আজও জ্বলে, তাঁদের ঝংকারে বিদ্যুৎ বাজে।
কিন্তূ অলপ সে মাত্র , তাতে উঠবে দেশ কত ?
হে অশরীরী তোমরা এস নেমে , নয়তো জলাঞ্জলি তোমাদের রক্ত।।