সূর্য বাবুর অস্ত গেল পাথর ধারণ থেকে,
গ্রহ রত্ন আদায় করে পনেরো  হাজার হেকে।
বসে বসে কাটছিল বেশ ভবিষ্যত  ভেবে,
ভাগ্য চাকা পাথর খানি ঠিক বদলে দেবে।
আনার থেকেই পারার লোকের অরচখানি চলে--
সূর্য বাবুর ভবিষ্যতে হিংসে তারা জলে।
লোকের ভেবে সূর্য বাবু মুচকি কেবল হাসে,
চলছিল বেশ মৃদু মন্দে সঠিক হিসেব মতো --
বাধ সাধলো ভূমিকম্প--
বাড়ির সাথে হারালো সে আরো জানি কতো।
চোখের জলে উঠতে হলো ছোট্ট ভাড়া নিয়ে-
দিন রাত্রি হিসেব নিকেষ  -  চলবে কিযে দিয়ে।
ঘাড়ের ওপর পরলো এসে মোকদ্দমার জালা,
জমি নিয়ে উঠলো লেগে তারই আপন শালা।
হিশেব নিকেশ গুলিয়ে গেল ভবিষ্যতের ছক -
দেনা টাকা  ফেরত চায় জনা কতক লোক।
ভালো খারাপ মিশে আছে তারই মধ্যে এক --
কাজের কাজ এগিয়ে দিল , বলে "করে দেখ"।
ঘামে ভিজে জলে কাদায় সূর্য বাবু  ছোটে ,
সারাদিনের কাজের পরে অল্প কিছু জোটে।
এতদিনে সূর্য বাবু সত্যি হলো খুশি,
মিষ্টি রাতে নতুন সপ্নে ঘুম আসে বেশি।
একটু করে বছর বছর জমলো ভালই টাকা-
কষ্ট করেই শিখলো বাবু কেমনে ভালো থাকা।
কিছু টাকা লাগতো হাথে বিশেষ একটি কাজে--
গ্রহ রত্নে দশ হাজারে পাথর দিলো  বেচে ।।