বৃষ্টি যদি আকাশের কান্না হয়,
তবে সেটা কতক্ষণইবা চলতে পারে?
যতক্ষণ আকাশে মেঘ থাকে ততক্ষণইতো।
তারপর সুবিশাল সুনীল আকাশ!
অন্ধকার রাতে তারকাদের মিটিমিটি হাসিতে খই ফোটানো ম্রিয়মাণতা,
চন্দ্রিমারাতে জোৎস্নার শোভায় অনেকটা সপ্রতিভ,
আর দিনেরবেলায় রবিরশ্মির বিকিরণে অত্যুজ্জ্বল।
মেঘহীন আকাশ বিস্তীর্ণ, সুবিন্যস্ত!
কখনো হাসে, কখনো অন্ধকারে মুখ লুকায়।
মেঘকে যদি আকাশের দুঃখ বলি
তবে কি খুব ভুল হবে?
যদি না-ই হয়, তবে বৃষ্টির বহিঃপ্রকাশে এত ভিন্নতা কেন?
কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি,
কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি,
কখনো মুষলধারে বৃষ্টি,
কখনো শিলা সমেত বৃষ্টি,
কখনো বজ্রসহ বৃষ্টি,
কখনো ঝড়ো হাওয়াসহ তুমুল বৃষ্টি!
দুঃখের যেমন রকমফের আছে, তেমন বৃষ্টিরও আছে।


জীবনের কান্নাটাও ঠিক জীবনাকাশের বহিঃপ্রকাশ!
তবে সবসময় দুঃখের নয়, সুখের আতিশয্যেও কান্না আসে।
শৈশবের কান্না,
কৈশোরের কান্না,
যৌবনের কান্না,
প্রৌঢ়ত্বের কান্না।
সময় ও বিষয়ের সাথে সাথে কান্নার রূপটাও পাল্টায়।
জীবনাকাশের মেঘেরাও একেক সময় একেক রকম।
ধরণ পাল্টায়, বোল পাল্টায়।
যেমনটা পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে আকাশে মেঘের রূপ।
_________________________
১০ আগস্ট ২০২১; সন্ধ্যা ৬.১৫ টা।