খোলা আকাশ, মুক্ত বাতাস
ভরা স্বপন পাশার দান ;  
জাদুকর চতুর গোলোক
মাঝ আকাশে,  বিধি বাম ।  


তুমিও ভেজো, আমিও ভিজি
অর্কপ্রভায় ;
পারদস্তম্ভে সলতে জ্বলন, ভিন্ন কোঠায় ।  
বালুচরে ছড়িয়ে ঢেউ
আকুল বেদনায়……
লীন হয়ে যায়
শ্বেত শুভ্র ফেনা ;  
শ্রবণযন্ত্রে অকারণ কলরব হানা ।
  
উঁকি মেরে আমের শাখা
ছাদের কিনারে -                      
বাজিয়েছে মোহন বাঁশি
মুকুল থেকে আম ;  
অবসরের অবকাশে যৌবন আনমনা  
‘ভালবাসা’ কথার ছলনা ।                                                                  


আমি তখন মাদুর পেতে দাওয়ায় বসে,  
শীত বাতাসে কিরণ আভায় দুলে ;  
শুকনো মুড়ি গরম চায়ে ভেজাই গলা ।  
আমায় ঘিরে ত্বরিত তরঙ্গ
মৃদঙ্গ তাল নিত্য আনাগোনা -
বাড়িয়ে চলে দেনা ।  


ভোমর বোঝে রবি-রসে
ফুলে আনারকলি
সময়স্তরে থাক বিভাজন যতই ;  
হাজার ত্রিভুজ এঁকে চলে
এক দিবাকর
তোমার আমার কায়া মায়াবী ;  
তুমি আমি তবুও অচেনা ।


লাভা মুখ উৎসারিত তাপ,  
বাতাস কাঁধে ছাই কাঁচ, দূর দূরান্তরে
মনগড়া নয় ;
শীতল হাওয়ায় কঠিন শিলা ক্ষয় ।
এই মাটিতে তাও হেঁটেই সুখ
ভালো লাগার দায় ;  
  
‘অতি’ ভালো এই ধরা
নিটোল সংশয় ।