ঝোলা গুড়ের দিন হয়েছে শেষ
বিয়ের বাসর ঘর -  
গিন্নি-বান্নি যারা, বাড়ীর লোক বা পাড়া ;  
বরের সাথে রীতি মেনে,
ঝালানো মেজাজ রগড় ।    
জিরেন কাঠে জাড়িয়ে তোলা
তাজা খেজুর রস  
বনবে বোকা বিয়ে পাগল ছেলে  
হবে বৌয়ের বশ ।  


ঝালর দেওয়া কাগজ ঠোঙা মাথায় পরিপাটি
রঙে বর্ণে আসন পেতে বসে -
প্যাকেট তাসে, চারটে আজীব ‘জোকার’ ;
এদের মধ্যে যে কেউ এক -  
এই দিনেতে বিশেষ বসন, আজন্ম তোলপাড় ।  


কাগজ ঠোঙা মাথায় শোভে বুঝি এটা ‘সাহেব্‌’,  
লাজ বস্ত্রে রাঙা বৌ, এরই নাম ‘বিবি’ ।
যায় না দেখা হুকোমুখো পান্তাভাতি বেড়াল -
বিবির খুঁটে বাঁধা, মোসাহেবি সেলাম ;  
তেরোতাসের কানকাটা ছাগল, বাদশাহী ‘গোলাম’।  


ভরা রগড়, ছিল স্বরূপ খাসা ;  
উল্টো চালে দানের খেলা পাশা ।
গুমরে মরে বুকের মাঝে শ্রাবণ-আঁকা মেঘ
পাঁচ কুড়ির শেষ কুড়িতে সটান হেঁটে চলা ।
হলে বারিষ টাক ভিজবে জলে  
তাতে কীসের খেদ ।

শেষ বিকেলে পূব আকাশে বীভৎস রামধনু,  
‘টিক’ লাগাতে সাতটা রঙে হাড় হয়ে যায় হিম ।  
তাসের প্যাকে জাদুকরী শঠ......
উদ্ভাবনী জ্ঞানীগুণীর ছল,    
ভোজ সভাতে নেমন্তন্ন ছিল ।
বঁড়শিতে টোপ গেঁথে, সাজিয়ে নিল
খাবলে খুবলে ‘এক থেকে দশ’,  
এখন পাড়ে ডিম ।    


‘বিট কয়েনে’ হ’ল কেনাবেচা
তবুও বলে ‘ভ্যা’ করতো বাপু ।