প্রজাপতি উড়লো এধার ওধার
ডানায় নিয়ে রঙ
বসলো শেষে কদম ফুলের ঐ কুঁড়িটায় ।
বলেছিল সে বা ওরা
আসতে হবে তোমায় ।

আলতো ছুঁয়ে রবির কিরণ
আর এক নতুন সকাল ।
আবার বলেছিল
সে কিংবা ওরা
শুনেছিলে তুমি, থুড়ি  
ঐ অধরে চাপা হাসির ছোঁয়াচে বিস্তার
দূর আকাশে লাট খাওয়া ঘুড়ি ।

দেখেছিল সে অথবা ওরা
তুমিও জেনেছিলে -
হাওয়ায় দুলে সূর্যমুখি গেয়েছিল গান  
টুকরো কিরণমালা
করিয়েছিল স্নান ।  


হাঁক পেরেছে সে, পসরা সাজিয়ে
আদ্যিকালের সুর ;  
ঘুম কেড়েছে ওরা ।
একদিন, রোজদিন উজার ভালবাসায় ।  
টুকি বলে যায় হারিয়ে
কলাবতী লজ্জা ।  


এক গলা, এক সুর ভীষণ উল্লাস
তানপুরার তারে ঐকতান ।
ভরা রসদ ঐ ভাণ্ডারে
চিনিয়েছে সে এবং ওরা ।


আমিও চিনেছি
ঘুরপাকে তো একটাই ঠিকানা ।  


বিশেষ কথা – কোলকাতায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কবিতার আসরে ‘কবিতার প্রেক্ষিত ও প্রেক্ষাপট’ সম্যক আলোচনায় এই লেখাটি পাঠ করেছিলাম ।