ধুঁকছে শেয়াল আলোর গন্ধ শুঁকে,
কুকুরগুলো বট পাকুড়ের ছায়ায়
ঢলে পড়ছে ঘুমে ।
খুব সচেতন শিকার
পিটিয়ে ঢ্যারা, উড়ছে খবর বনবাদাড় আর গ্রামে ।
থামিয়ে ডানার ছন্দ নাচন
লেজের ঝাপট জলে ,
দিন বা গভীর রাতে -
আঁশ নিচ্ছে ধুয়ে জলের মাছ ।
আতর টোপে লুকনো আশ জেলে
ডিঙি নৌকো চুপিসারে সারছে আপন কাজ ।
সকাল গড়িয়ে দুপুর…
আমরা কজন নড়িচড়ি কথাও বলি, শুনি
চার দেওয়ালে ভয় পেয়েই আটক ।
বিশাল বহর কয়েকশো হাত লেত্তি,
হ্যাঁচকা টানে ঘোরে অবিরাম লাট্টু ;
উস্কে দেয় সাঁঝ বাতি, পেঁচিয়ে রাখা সলতে
বন্ধ ক’রে ফাটক ।
‘থাই’ মশলা রান্নাঘরে ঝাঁঝ,
তাজা শিউলি ভাসে বর্ষা জলে ।
ছানাপোনায় সাপ-শ্বাপদের রাজ -
মোরগ-ষাঁড়ের জমাট গল্প চলে ।
চাগিয়ে নোলা হ্যাংলা বনমালি,
নাইতে নামা গোপিনীদের বস্ত্র নিল তুলে ।
ট্যুরিস্ট ম্যাপে চোখ রেখেছে, সাইবেরিয়ান বক ;
শীত সমাবেশ করতে উপভোগ ।
অন্ধকারে ড্যাবডেবিয়ে দেখি,
ভরা জোয়ার নিয়েছিল সা্থ, টুকিটাকা পাখি ।
আবর্জনা, পলি জমা ফাঁদ, কুলে উপকুলে ;
দেয়নি সাথ সাগর টানের ভাটা...
অধিক মাছে বেড়াল, বাছে কাঁটা ।