সদর ঘরে দেওয়াল জুড়ে শিকারী হাতির কান,    
টানা চোখে মা-দুগ্‌গা আঁকা ।  
দণ্ডি মাপা সুতোর গিঁটে, বাঁধা বুড়ো আঙুল ;
ছিটে-ফোঁটা গঙ্গাজলে পিতৃপুরুষ ত্রাণ ।  


তরোয়ালের খণ্ড যুদ্ধে মহিষ-অসুর মা ;  
না শীত - না ঊষ্ণ বাতাস, সার্বজনীন ঘট ।  
নহবতে ভাঙা রেকর্ড, সূচ বেঁধা সুর শানাই ;
দাঁড়ের কাকাতুয়া শোনে আগমনী গান ।    


তিথি পক্ষ বিচার করে সুসজ্জিত নাও......
আগমনী বার্তা ছিল ‘চোদ্দশো ছাব্বিশ’ ।      
ছকে ছকে ওলোটপালোট, রাজঘোটকের ডাক ;  
‘প্যাকেজ’ মেট্রো আবেগী সুখ, বৌবাজার ভূতল ।


উলুধ্বনি, শঙ্খফুঁয়ে মাতিয়ে কোলকাতা......
নিদান-কর্তী নাড়িয়ে দিল সবুজ পতাকা ।  
হুল্লোড়ে সব থাকতে মেতে প্রজারা সব রাজি ;
পঁচিশ হাজার নতুন নোটে, থিমে কারসাজি ।


বেবাক বোকা ছাত্র যুব... চেনা গলির জাল ;    
আগাম হাজির বোকাসুর মোদো করতাল ।    
চলে গেছে পুজো গুমোর আত্মা-আত্মীয় !
আধ-সেদ্ধ আলু তাপে, গলে না আজ ঘি-ও ।  


তবুও বলি মা আসছে !! ধিন-তা-ধিনা ধিন ;  
নারদা-সারদা, নীরব মোদী শোধে নি সে ঋণ ।  
এবার আমার ভীষ্মপণ - কার্নিভ্যাল লুক......    
‘পি-কে’ বোধ হয় কে-পি হয়ে কাশ্মিরী পুরুত ।  


‘পি-কে’ – প্রশান্ত্‌ কুমার (মাননীয় উপদেষ্টা)