মনের কথা গুছিয়ে কই বোঝাতে নেই রেহাই,
সাপ নেউলের অসম ভাষা দমদার তেহাই ।    
মিল রেখে শব্দগতি ক্রিয়ার পিঠে ক্রিয়া  
প্রেম প্রহসন বংশীবাদন ছলাকলায় স্পৃহা ।    
(চলতে পারে বললে ‘কবিতা’)


শ্রাবণ ধারায় হঠাত সকাল ! বর্ষাতি চাই ;
নগরপ্রান্তে স্বপ্নে দেখা অজানা গ্রাম,
দেশ কালের গোল ভূগোলে হিমালয়ের পাগল ঝর্ণা
স্রোতস্বিনী তিস্তা, তোরষা ঝিলে বিলে
দোয়েল শিস, শুনেছি ডাক সংগোপনে -  
একলা বসে ঘরের কোণে
বন্ধু তোমায়, পাঠাই এই চিঠি ।  
(নেহাত কিছু কথা, বলবে কি ‘কবিতা’?)


গড়গড়িয়ে কথা বলা অনেকটা গালগল্প
ভাবনা কিন্তু শব্দরাজি কাব্য নাকি অল্প ।  
থাকতে বেঁচে সামনে পিছে তালে অবিশ্বাস
কঞ্চি - ছোট মোটাসোটা,
ভাবলো বুঝি বাঁশ ।  


কবিতাটা আমার রাজ, তুমি বাপু কেডা ?  
মাছ বাজারে কিচির মিচির
তুমি বেজায় ঢ্যাটা ।
  
বুঝে নিলাম -
পেশীর জোর, জিদ্দি-লড়াই ভীষণ,  
শব্দে ওজন যোজন দূর, ছন্দে পার্টিশন ।  
কবি ‘সজ্জন’ ভাবে যে জন সাজিয়ে লেখা বার্তা
বাসি ইলিশ সুস্বাদু টক, নরম বেগুন ভর্তা ।
এদিক ওদিক লাইন টেনে আয়না সামনে রেখে
কেউ হয়তো বাটনা বাটে, কেউ বা দ্যাখে চেখে ।
পটে আঁটা মমতাময়ী ছবি
দু-লাইনে নাচায় ছন্দ মান্যবর কবি ।  
(‘কবিতা’ সমান্তরাল পথ)


পাগলাটে হাওয়ায়
মাঠ বিলের পথে
দৃষ্টি হারায় দিগন্তের রেখা ।  
বন্ধু তোমার হাতটা ছিল হাতে
মন কেমনের চিঠি লিখি তোমায় ।


‘পুরনো থাকবেই বরাত’ অভিমান কী মানায় !
লড়াই রেখেছি জারী, লক্ষ্য কেবল ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে চড়া-ই ।  
তোমার ভাষায় অভিবাদন
তোমার জন্মদিন ;
আমার ‘খোলা চিঠি’।    


সহসা এক রাতে ;  
টুপুর টাপুর শব্দ বৃষ্টি, পড়লো টিনের ছাদে ।
আবার সেই ফেলে আসা দিন, বছর খানেক আগে ।  
ডোবার ধারে অসহায় ব্যাঙ
মেলে ধরলো ছাতা ;  
এসো বন্ধু, বসো আমার পাশে
কথা যত বুকে আছে চাপা -  
বলছি আবার, লিখছি ‘খোলা চিঠি’।    
(এটাকেও এপাশ ওপাশ মেলে – অনেকে নে্য ভেবে –
‘কবিতা’র আধুনিক ঢঙ)


ভিন্ন ধারায় আমার ‘খোলা চিঠি’  
হ্যাঁ বন্ধু, এই চিঠিতে আদান প্রদান সাফ
‘সাগর’ নাম তোমার, করবে না কেউ মাফ ।  
লেখা কথা গোটাগোটা খুব পরিস্কার ;  
যতি চিহ্ণে গতির রদবদল......
ঘাঁই মারা তোলপাড় ।  


ভিন্ন ধারায় আমার ‘খোলা চিঠি’......
মানছি কঞ্চি মোটা,
বাঁশ না হলেও কাব্য ।  
‘গঙ্গা’ নামে আজও চেনে লোকে
কমে গেলেও নাব্য ।


আমার কথা - ভ্রাতৃসম সুপ্রতিম কবি বন্ধু ‘রক্তিম’ এর কবিতা ‘খোলা চিঠি’র প্রেক্ষিত ।
একেবারে নিজস্ব  অনুভূতি ।