কৃষ্ণকালো নীরদ  
দমন শমন গতি
আলতো গালে হাত ।


ধার আলো সোহাগ
পূর্ণিমার চাঁদ
গোপন ইচ্ছে ফাঁদ ।  


তাপ সাগরে কিরণ
খোঁপায় বেল ফুল
ভাসমান শিলা ।  


মানানসই সুর
পুষ্ঠ কুসুম-কলি
মাতামাতি খেলা ।  


খাঁচায় ময়না শিষ
কলস কাঁখে ঠমক
ঠোঁটের ফাঁকে হাসি ।  


তোল-মোলে কাব্য
পাঠক মতিঝিল
বুড়ির দাঁতে মিসি ।    


ক্ষীর-ননীর ভাঁড়  
রস রসদে কান্‌-হা  
ফারাক আকাশ-ছাদ ।  


কালে-তালে পথ
হয় শুরু নয় শেষ
বহাল তবিয়ৎ ।


অলস তিন প্রহর
দুপুর রোদে পিচ
লতর-পতর কেঁচো ।


ঢেউ বিহীন জল
মাইক্রোফোনে কান
আলাপনে ছেদো ।  


অভিলাষী প্রেম
ল্যাপটপে মাউস
নাচে লাজুক হরফ ।


চতুষ্কোণে বাস
পর্দা ফাঁকে নীল
প্রবেশদ্বারে ফলক ।    


খনি কেটে স্বপন
উদামী শ্বাস
নেহাৎ কানাকানি ।        


ভুলে গুলে ভোলা
সতীর আবেগ দহন
কবর-খাদে বাণী  


বকবকমের দিন
জাপান কিবা চিন
ভালে রাজমুকুট ।


আকচা-আকচি দেশ
পরিশ্রমী চাষা
মহা-ভারত শকট।


বর্ষা গানে ছাতা
জেদী হাওয়ার দান
বাকি অনুমান ।