ল্যাপটপের ডান কোণে নীচের টুল বার
মোবাইলে অন স্ক্রিন পেজ
এখন সময় ডিজিটালে দেখি ।  


গলির মোড়ে টাইম কলে
ভগভগিয়ে জল ;
গড়িয়ে যাওয়া স্রোত -
তালিবান সেনা চেনে কাবুল শহর পথ ।  
আকাশপানে উড়ছে ঘন ঘন,
ভারী শব্দে বিমান ।
সচল মুঠোফোন,
ক্রমান্বয়ে বিমান তালিকা  
সময় সারণি ;    
শুকিয় গলা আফগানি পথিক ।  


দূর দিগন্তে জমাট বাঁধা মেঘে,
মাকড়সার দল ;  
খুঁটি বেঁধে বুনে গেছে অদৃশ্য জাল -  
বাতাসের ঝুলন দোলায়
গ্রামীন যাত্রাপালা ।
আর্কাইভে নীরব কবর
কুঞ্জবনের বাঁশি ।    
তবুও সেদিন হঠাত দেখা
হলদিরামের মোড়ে...  
মানে খোঁজা নেহাত বোকামি ।  


সামনে যে সব দাঁড়িয়ে উঁচু গাছ ।  
ব্যস্ত ভীষণ ফিরতে কুলায়
ক্লান্ত পাখীর দল......    
উঠে এলাম তাদেরও ছাড়িয়ে  
আচম্বিতে হাতের মুঠোয়      
খসখসে আকাশ ।  
ভাবনা ছিল কিশোর মনের
কানামাছি ঘোর -    
জলভরা চোখ খানিক বোকামি ।  


সাগর দেখি হলদেটে কালো
দূর আরো দূরে,
বালুচরে অসময়ে হেঁটে,  
মেঘ জলের ধূসর আবেগ
সন্ধি সমঝোতা......
ভি আই পি রোড, হলদিরাম মোড় ।  


রোড ক্রসিং-এ ট্রাফিক আলোয়
অপেক্ষায় চিল -
প্রজাপতি মৃগরূপ ডিজিটাল ঘড়ি ।    


প্রজাপতি মৃগরূপ (মৃগশিরা) - পৌরাণিক কাহিনি
রোহিণী প্রজাপতি ব্রহ্মার কন্যা। একবার কথা না শোনায় ব্রহ্মা কন্যার প্রতি ক্রুদ্ধ হলে ভয় পেয়ে রোহিণী মৃগীরূপ ধারণ করে পলায়নে সচেষ্ট হন। তাই দেখে ব্রহ্মা মৃগরূপ ধারণ করে তার পশ্চাদ্ধাবন করেন। তখন সব দেবতা একত্রিত হয়ে নিজেদের ঘোরতম অংশ দিয়ে ভূতবানের সৃষ্টি করেন। এই ভূতবানের হাতে মৃগ নিহত হলে প্রজাপতি মৃগরূপ ধারণ করে আকাশে আশ্রয় নেন।