ব্যস্ত সকাল, শীত পেরিয়ে
মিষ্টি রোদের দুপুর -
খেলছি পুতুল দিচ্ছি বিয়ে
আমি বরের মা ।
আনব ঘরে আজ, মিনির মেয়ে পুতুল ।


প্রজাপতি বেড়ায় উড়ে বন-বাদাড়ে
বনফুলের সারি ;
মুকূল ভারে নত আমের শাখা ।
ধরতে ফড়িঙ্‌ করছে ছোটাছুটি
ফুটফুটে পিণ্টু, বুল্‌টি
পাড়ার ছেলে দুটি ।


সোহাগ ভরা বাবার কেনা
পড়ার টেবিল-চেয়ার ,
এই দুপুরে,
মুক্ত-ঝরা মায়ের হাতের আঁকড়
ঘরের অঙ্ক খাতায় -
‘শীলা’ তোমায় হতেই হবে বড় ।


গোয়াল থেকে ‘হাম্বা’ রবে ‘কালী’
বাঁধন মুক্ত হওয়ার ভীষণ শখ ;
মাতিয়ে পাড়া ক’টা ছেলে
ওড়াচ্ছে ঘুড়ি
‘ভো-কাট্টা’ রব ।


আতশী কাঁচ, অবতলে  
নিথর সন্ধ্যেবেলা ;
মন ভোলানো, চোখ ধাঁধানো আলো ।  
পায়ের ছন্দে তাল কাটে না
অনুশাসন মেনে -
পিণ্টু, বুল্‌টি ঐ বাড়ীরই ছেলে ।
পাব দেখা, গল্পে শোনা পক্ষীরাজ ঘোড়া -
পেরিয়ে গলি, জিটি রোডে গেলে ।


তুষারঝড়ের খস্‌খসে গান,
সাথী বিহীন ধর্মরাজের কুকুর ;
নটরাজের ইচ্ছে নৃত্য তালে ,
দুলে উঠল পায়ের তলার মাটি ;
অভিশপ্ত দুপুর ।
রোদ-ছায়ার গভীর প্রেমে
নির্মম বাস্তব -
মিনির সঙ্গে হয়ে গেল আড়ি ।