ফাঁক ফোকরে উঁকিঝুঁকি দিয়ে
বর্ষা নিচ্ছে বিদায়,
ঝিলমিলে রোদ পর্দা আড়ালে
শরৎকে ডাকে আয় ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


যোগাযোগ বেড়েই চলেছে
বাতাস বইছে পাতায়,
গুঞ্জনে সুর মিষ্টি-মধুর
ঝলকানি দেখি শাখায় ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


কোকিলের ডাক চেনা বহুকাল
সোনা রোদ ঢলে বিকেলে
কনক চাঁপার সুরভিত আঁচ
দিয়েছে কি ধরা, আঁচলে !
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


আমরা মানুষ, ভোলাটাই রোগ
নয় ভোগ দুর্ভোগ;
শ্রাবণে প্লাবনে প্রলেপ ধুলেও
অখণ্ড থাকে যোগ ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


হোক্‌ ছোট হোক্‌ ঘাসের আঙ্গিনা
বেষ্টনে ফুল বাহারী
মধুর অতীত বহরে বিশাল
অনন্ত  দিক-দিশারী ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


ক্লান্ত শরীর কখনো সখনো
দিন শেষে চাপ বাড়ে
গুঞ্জন ভুলে মন ভোমরা
বিদ্রোহী তান ধরে ।  
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


আস্তরনে বাদলের মেঘ
আকাশ, সুদূর প্রসারী
গহীন নীলে
রতনের খোঁজে
আলোকবর্ষ ছাড়ি ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


কাছে খুব কাছে সহজ সরল
লাজুক চোখের বালক
ছাড়িয়ে গণ্ডী, হারিয়ে শালীন
রাঙ্গিয়ে চোখ শাসক ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


পাপের পশরা ভাসমান স্তুপ্‌        
খানা খন্দের জলে -
অসহায় প্রাণ গন্ধবিচারে
প্রতারিত কৌশলে ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


অনিন্দ্য রূপ সোহাগ ভক্তি
কাল বেড়াজাল ডিঙিয়ে
কালী ও কৃষ্ণে সমান সত্তা
কত কাঠ খড় পুড়িয়ে ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


খণ্ডিত জল ভাসমান খেয়া
মাছ ধরে চিল আলগোছে
পাপের কালিমা সুশ্রী রাবণে
সীতা হরণের গোঁ ধরে ।
রূপা, তুমি ক’রছটা কি ?


অজানাকে জানা, নিতে হল সাধ
বাড়ী ছেড়ে পাড়ি পাহাড়ে -
এই গহ্বরে দামী সম্পদ
বৃথা সুখ অতি দূরে ।
এক ফর্মূলা, বেহিসেবি খেলা
পুরাতন কাটাকুটি ;
বোরখা আড়ালে অদৃশ্য সুখ -
সাগর পারের মাটি ।
রূপা তুমি, ক’রলেটা কী !