এই সেদিনের দিনের আলো, ধূসর নয় ;
প্রকৃতির খেয়ালখুশি হয়নি চুরি ।
বাজিয়ে বাঁশী, মাঝগঙ্গায় বাড়ী ফিরছে মাঝি ;
ছলাৎ ঢেউ-এ উঠছে দুলে কাটা প্রতিচ্ছবি ।
ঝকঝকে রোদের বাণে ,
ভিজে জোছ্‌নার কোমল ছোঁওয়ায় ,
এলো গেলো হরেক ডজন প্রেম –
দেখলাম না, চিনলাম না তোমায় ;
অণুভাতে, হঠাৎ হ’ল দেখা ।


পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত নদী যে মাটিতে
ঝোড়ো হাওয়া হারায় গতি যে আকাশে
নিয়ম মেনে সরব সেথায় - রেপ কিংবা মার্ডার ;
ছোট্ট, তুচ্ছ ঘটনাতে -
মাস্টার আর পুলিশ খাচ্ছে মার ।
সদর্ভে নাবিক ব’লে পেয়েছি হার্বার ।
বাতিস্তম্ভের জ্বলজ্বলে আলোয়,
হারালো বিশ্বাস ।
আমি বললাম, ‘ছেড়ে দে না, কিসের আফশোষ!’  
তুমি তখন ছিলে না তো পাশে ।


গড়পড়তা আয়ু গেছে বেড়ে -
রাজপথে মহামিছিল, মৃত্যুমিছিল নয় ;
হল্লা মিছে, ব্যাপক মহামারি -
বদ্যি বলে, ব্যমো ভীষণ
গালভরা সব নাম
রোগ ধরা যায় কেবল টিপে নাড়ী ।
তবু, নিকষকালো আঁধার মাঝে
হচ্ছে মোলাকাৎ -
হাতে, বেদির মোমবাতি ।
তাও বললাম – ‘ছেড়ে দে না, কিসের ব্যাকুলতা !’
তখন দেখি তোমার হাতে হাত ।