ছোট গলি, দেওয়াল ঘেঁষে
ঝুপড়ি চায়ের দোকান ।
ভয়, লজ্জা, দ্বিধা নিয়ে মনে,
ঐ লোকটা ডেকেছিল -
‘কাকাবাবু, ছিল একটা কথা’ ।


কুঞ্জবনে ভোরের কোকিল -
অনুমতির রাত পোহালে,
রোজ করে গান একই সুরে ।    
লম্বা ঠোঁটে বিদেশী বক -
জলাশয়ে দুব্বা ঘাসে,  
ফাঁদ পেতে গায়, দোসর সাথে ভিন্ন সুরে ।  


প্রিয়জনের সাধের বাগান,
ঘেরা ছাদে ;
এ গাছ ও গাছ পাতার দোলে  
ফিস-ফিসিয়ে কথা বলে
চোত-বোশেখে,
কেবল একটু জল ছোঁয়ালে ।  


বৃষ্টি ছাড়া গর্জনে মেঘ
আকাশ-বাতাস -
পাখনা ম্যালে পোষা ময়ূর
ইচ্ছে-মতন ;
গোপন টাকার মিলছে হদিশ
যখন-তখন ।


মিনি বাসের মোহন বাঁশি,
যোজন তিনেক দূরে ভাসে -
তোতাপাখী কন্ডাক্টর,
প্রথম দিনে শিখেছে গান ;
তালের সাথে সুরেলা ডাক -  
এগিয়ে চলুন পেছনপানে ।


গন্ডি কেটে হদ্দ পাগল,
অধিকারের দাবী-সনদ ;
উঁচিয়ে ঝাণ্ডা দন্ড সমেত -
দুসরা পাঁচে রাণীর জেদ ।


শেষ বেলাতে পড়ল মনে,
ফেরার পথে শুনেছি ডাক -
‘কাকাবাবু, কাকাবাবু’
ছোট্ট একটা চায়ের দোকান ।