হোক ছোট, কোঠি নয়,
গড়ি সাধের বাড়ী ;  
আধুনিকের ছোঁয়া নিয়ে দক্ষ কারিগরী ।  
অল্প-স্বল্প শোনা ছিল গল্প,
ডিজাইনের খসড়া ছিল কাছে ;
ছোট খোকার আছে দায়, লিস্ট মিলিয়ে দেবে সায় -
গলদ কিছু থাকে যদি ধাঁচে ।


বেঠিক হল যেটা – ঘুলঘুলিটা!
কিসের শোভা, ভেণ্টিলেশন ?
রাজমিস্ত্রির মগজ প্রক্ষালন ।
ফিরোজ, তোমায় বলি শোন,
কর অপসরণ,
তোমার বাঁধাধরা গড়ন –  
ঐ সাধের ঘুলঘুলি ।


মনের আবেগ রুটির যোগাড় -
বাজিয়ে শানাই যায় না ঢাকা ।
উদোম জোয়ার ফেনায় তবু
শানাই ছাড়া, যৌবনেরই গান ।
সম্পর্ক, সমাজ পচা ঘ্যান্‌-ঘ্যানানি -  
পাড়ায় পাড়ায় বিয়ের ঘটা রোজই ;
ফিরোজ, তুমি ঘুলঘুলিটা বন্ধ কর আজ-ই।  


উল্টে দিয়ে বইয়ের পাতা এক নজরে,
শিক্ষাগুরু মাস্টারেরা দিচ্ছে টনিক -
বাড়ে নম্বর সমহারে টাকার জোরে,
মাসকাবারে ।
পড়ুয়ারা শিখবে পড়া সকাল-সাঁঝে,
বইয়ের ভাঁজে ;
কে বলেছে ?
ফোটাতে ফুল সিদ্ধ হস্ত কাজী ।
ফিরোজ! তুমি ঘুলঘুলিটা বন্ধ কর আজ-ই।  


শিল্পবানে গা ভাসিয়ে, শিল্পপতি বেজায় খুশি ;
দেদার টাকার রঙীন কেতন
উড়ছে দেখি হাওয়ায় ।
মিথ্যের জাল ছল-চাতুরি, খেলা অর্হনিশি          
ঋদ্ধি-সিদ্ধি শূন্যাকাশে                                
আঁকশি খুঁজে বেড়ায় ।
শাশ্বত জ্ঞান – ‘সত্যের জয়’
লেখা কেবল বইয়ের পাতায় ;
লাজুক চোখে গেঁয়ো ছেলের,
বোকা হাসি ।
ফিরোজ! তোমায় আবার বলি
ঘুলঘুলিটা বন্ধ কর আজ-ই।