সারি সারি দাঁড়িয়ে গাড়ী
রাস্তা থেকে পাশের গলি ;
ব্যাগের বোঝায় নুয়ে পড়া দুধের শিশু ।
সাদামাটা ব্যালকনিতে হাত নাড়িয়ে,
পায়ে পায়ে দিব্যি চলা -
মায়ের পানে দৃষ্টি হেনে হাসি মৃদু ।
স্বাধীনতার মুক্ত হাওয়া, পলক ছোঁয়া,
নরম মুঠোয় এই আঙুলে শক্ত বাঁধন ;
আকাশ-মাটি ব্যবধানের অভাগী ঋণ -
বাড়ীর দালান ভাগ হয়েছে অনেক দিন ।


প্রদীপ জ্বেলে ঠেকিয়ে মাথা
তুলসী-মঞ্চে সন্ধ্যেবেলা ;
দিকে দিকে শঙ্খধ্বনি
এক গুণিতক চার ।
ভীরু চোখে দুহাত জোড়ে,
হৃদ-মাঝারে গোপন আশে,
মুক্তি যুক্তি একই বৃত্তে
ঘনঘটা সংসার ।    


ঘামিয়ে তোলা বানিয়ে কথা
ছুটির দিনের অলসতা ;  
অবসরে নীরব ভাষা,
দারুণ সুখ ।    
কলেজ কামাই ঠিক দুপুরে
বাসে-ট্রামে ঝুলে ঝুলে, ময়দানে ভীড় ;  
অম্ল-মধুর করুণ আবেগ, চিত্তসুখ ।    


সারি দেওয়া দীর্ঘছায়া গাঁয়ের পথ -  
আগল খোলা শিল্প-জোয়ার,  
ফেরিওয়ালার দোলার ভেলা উল্টোরথ ।  
সাগর কূলে নোঙর ফেলে বাড়িয়ে হাত,  
এক হাঁড়িতে জলো আবেগ
মিথ্যে ফোটে দশটা ভাত ।  
স্তরে স্তরে হাওয়ার স্রোতে পাখনা মেলে -
বাড়ীর দালান ভাগ হয়েছে অনেকদিন ।  


মাঠে-ঘাটে রৌদ্র ছায়া,
রবি শশী গ্রহ তারা ;  
ছয় ঋতুর লতা-পাতায়    
সবাই কেমন চোখে হারা ;  
বুদ্ধিমানের খাঁটি কথা -
বাগান বাড়ীর বাহুল্যতা ।  


আটফুট বাই দেড়ফুটে
শোওয়ার জন্য জমি চাই ;
দেড়ফুট বাই একফুটে
মাটি পেলে ঘুরে বেড়াই ।
দোহাই দিয়ে ভাগ্য নিয়ে -  
থাকুক মেতে জ্যাঠা-জেঠি ;  
ভদ্রলোকের বাঁচা-মরা
কলুর ঘানি শক্ত খুঁটি ।


গড়ছি সিড়ি চাঁদের পথে -  
আমি ও আর আমরা তিন ;
বাড়ীর দালান ভাগ হয়েছে
নয় নয় তাও অনেকদিন ।