জমিদারের খোশমেজাজী পুজো,
আমার ছেলেবেলা ।
শ্রাবণ-শেষে সবুজ প্লাবন
গল্প এখন থাক ;
ঘুম পাড়ানি গান ভুলেছে মা ।


সুরধনী ছন্দে মেতে
কাশের দোলায় নিবিড় মিলন,
নহবতের ঐকতানে ভোমর গুঞ্জন ।
হিমেল সাঁঝে চাদর মোড়া ;
পাড়ার মজলিশে -
শোরগোলে
কথা আসত ভেসে ;  
এবার এলো মা ।


টুকরো টুকরো গল্প
জুড়ে বুক -
কাঁখে কলস, মিনু কাকীর  
ডাগর চোখে সুখ ;
অসুর বধের গরিমাতে
অবাধ গতিবিধি ;
দেহ মনের বিড়ম্বনায়
সুপ্তি স্বপন বীতি ।


যুগের পরে যুগ -
জন্ম থেকে ‘বউ কথা কও’
তিনটে বুলির ডাক ।  
এক হাঁড়িতে রান্না
তবু মাছ ঢাকতে শাক ।  
অনেক শিল্পী
ছুঁয়ে গেল তোমায়,
চিরন্তনে মৃন্ময়ী – চিন্ময়ী ;
নিরবধি নেশার বুঁদে
সবাই ডাকল মা ।


খামচা-খামচি জীবন পাঁজি
লেখা হিজিবিজি ।
দীপ্ত মনের গুপ্ত ব্যথা,  
ভূলের স্মৃতি সোপান -  
অঞ্জলিতে তোমায় করে দান ;
আপন মা কে করেছি অপমান ।


অদল বদল সংহারীরূপ
সুচাতুরি খেলা ;  
গোলমেলে লোক
সজাগ পাগল হিয়ে ।
বিশ্বমঞ্চে অভিনীত
হাজার কোটি রাত ;  
আমার পাশে কেবল তুমি
চিরসাথী প্রিয়ে ।