বাংলার ‘আই’, হুগলি নদী
চনমনে মন ;  
অপরূপে, ছেঁদো সাজে,  
সাধের মধুবন ।
ঘাস ভরা নদীর তীর -  
আছড়ে পড়ে জল ;
সারি বেঁধে নিবিড় ঘন
চখাচখীর দল ।    


সপ্তনরী মনোহারী, তিরিশ বছর কবি ;  
ভিয়েতনামের যুদ্ধ এখন, ছবি ।  
মাংস খেয়ে হাড় বিঁধে যায় বুকে,  
ভাবনা আমার, কেউ দেখে ভিন চোখে ;    
সময় জানে, শুধুই পরিহাস ।  
তোমার, দুটো পাতলা ঠোঁটের ফাঁকে,
এঁকেছিলাম, ঝুড়ি ভরা বটবৃক্ষের শ্বাস ।


আসবাবে জমজমাট বাড়ী,
নিয়েছিলাম ভাড়া ;  
ছেড়ে গেলাম টেবিল চেয়ার,
ছেঁড়া ডায়েরির পাতা ।


শক্ত-পোক্ত কাঠের মঞ্চ -
ময়ূরপঙ্খী ‘জিন’স ;  
গুনগুনিয়ে শুনিয়ে গান
উড়ে গেল ‘ফিনিক্স’ ।
কেয়াপাতার খেয়া বেয়ে
পারাপারের সোপান,  
পাড়ার দাদা, দার্শনিক -
ঘেঁটে অভিধান ।    


আঁস্তাকুড়ে, যমদূতের চর  
চিত্রগুপ্ত লিখল শুধু -
অন্যায় আবদার ।  
জর্জরিত হৃদয় জোড়া
সম্ভোগের সুখ !  
রসে বশে মহাভারত
বিড়ম্বনার যুগ ।  


(অনুপ্রেরণা 'আজকের পার্টি' কবি রুমা ঢ্যাং)