শীত-শান্তি উড়ছে ধুলোয় পূবের হাওয়া গরম,  
গাথা ছন্দে, মিলন মোহনাতে -  
মেলাচ্ছে পা ভালোবাসার তুখোর চৈত্র সেল ।    
পরিক্রমায় বিদগ্ধ তাপ, ব্যতিক্রমী ভাষা
গল্প কথাকলি ।  
ক্রোমোসোমের জটিল অংকে সুগন্ধি ‘হোলি’ ।      


বিভূতিতে শিব অঙ্গ,  
ভস্মীভূত জীবাণুদের ছাই ;
বেঢপ চমক গোপী বিনে
হোলি জ্বরে ত্রিভুবনে সবাই ।
ভাঙের নেশায় দুলে ফুলে,  
ডমরু বোলে উদোম নাচে
শিবের সহচর -
‘তাড়কাসুর’ হেসে লুটোপুটি ।  
ফলে ফুলে কচি ঘাসে
নির্ঝরিনী শীতল বায়ে,  
শান্তি সুখে বেঘোর তপে  
দেবাদিদেব শিব ;  
রুপনেহারি শৈলজার অবাধ্য জিদ !
শিব-দুর্গা খেলবে হোলি, কামদেবের ঝুঁকি ।    


আলিঙ্গনে সঙ্ঘবদ্ধ, নেশামুখর বাতাস -
জটিল রঙে আলোড়িত সোমত্ত যৌবন ;  
শ্রীরাধার তিলোত্তমা ভালে,  
কেলে কেষ্ট, এঁকে দিল প্রেমের অলকা ।  
দৃশ্যপটের পর্দা ঠেলে  
আগুন থেকে বাঁচার পোশাক কেড়ে,  
আবরিত ঘন লালে আকাশ ;  
প্রহ্লাদের হোলি খেলা জ্বালিয়ে ‘হোলিকা’ ।  


দুব্বা ঘাসে লুকিয়ে মুখ কৃষ্ণকলি গাভী -  
কীর্তনিয়া দলে ভারী ভিনদেশী আমোদী ।          
কালো মেঘে ফুটিয়ে হুল রঙীন বারিধারা -      
‘হোলি হ্যায়’ শব্দ জোয়ার বোল্‌তা দিশেহারা ।