শীত সকালে টোপা কুলে
টকঝালে চাট -  
পোহায় রোদ জারে কাসুন্দি ;  
শিরশিরে হিমেল বাতাস চাদর মোড়া রোদ,  
একতলা ছাদ পাহারাদার
লাঞ্ছিত ছায়া ।        


ফাগুন আগুন দাপটি যৌবন ;  
কুক্ষিগত আঁধার গুফা চিন্তা হোরিখেলা ।  
বেবাক ভুলে সমাহিত কেশর
রসাধার কিরণ দোলায়
লালা ভেজা নোলা ;
আবির চোখে পশুরাজের  
হেঁচকি তোলা ডাক ।  


সূর্য্য-স্নাত ধরার পিঠ,  
ক্রান্তি-সীমা নিয়েছে বেঁধে পথ ;  
গবাক্ষের আয়তনে রঙবাহারি জোয়ার  
হিংসে বোঝে
সমঝদারি মাপ ।  


স্বর্ণাভ ললিত কিরণ
অসংলগ্ন মাটি ;
কোদাল কোপে হয়ে গেল চুরি ।


কড়ে আঙুল নখে কেটে,  হাতের ঘুড়ি হাওয়া বুঝে  
ঘোড়দৌড়ে সামিল ;  
ধুলোর আকাশ বাদামী বেদনা...  
হয় পাহাড় নয় দুস্তর মরুভূমি ।  
মাটি আকাশ ব্যবধানে যুদ্ধ তোরণ সাজ,
শত্রুর ভয় মাঞ্জা গরিমা…….
ব্যারিকেডে বন্দিদশা মৃত্যুর দিন গোনা ।      


শেষ পলে চেতনার পাগলামি
বাদশাহী কথা ভীষণ খাসা ;  
জাঁতাকলে তেঁতো চাপে শাস্ত্রীয় দর্শন......
দিন আনতে পান্তা ফুরোয়
আটপৌরে ভাষা ।  


আমার রোদ ! সাহস কার
করবে বাটোয়ারা...
মোরগ-কাকের শোরগোল সকাল ।