দিনগুলো তো ডিঙি বেয়ে হচ্ছিলো পার
আমি, তুমি আর সকলে
যার যা খেয়ালে ।


বুড়ি ছোঁয়া, শেষ শীতের খেলা ;  
শিথিল ভ্রমণ চাঁদের আলো
কাঠঠোকরা প্রেম ।  
চিটির পিটির জল ভরা মেঘ,  
করুণ বসন্তে ;  
চকচকে খয়েরি নিম পাতা ।  


চাঁদ তারা মহাবিশ্বে অবাক সংঘটন
অপরাধের দুষ্টু কণা
তকমা মেখে গায় ।


পলকহীন ডাগর চোখে চাওয়া,    
মস্তি-ফিকির ফাঁক গরাদে
গরল তৃষা জীবন ;  
লোভ আকাশে প্যানোরামা
শ্যাওলা বারান্দা ।


বনের শিয়াল আচমকা              
হুক্কাহুয়া রব
বেওয়ারিশ সারমেয় মাতালো হৈ-চৈ ।      


গচ্ছিত ফুল প্রভাত সমীরণে,  
শিহরিত আলোর কাঁপন
ঘন চোখের পাতা ।  
তাপদাহে শিরায় শিরায়
ঢক্কা-ধুনি নিনাদ ;  
ফুরিয়ে যাওয়া খুশি পলাশ দিন ।  
মেঠো পথে হারায় ঠিকানা ।।  


পাহাড় বুকে বরফ গলা প্লাবন
ধারার শতেক মুখ          
হারিয়ে খেই ডিঙি খেয়া নাও ।  


পল্লবিত আমের শাখা
সোনারাঙা মুকুল  
গুটি আমে বিহ্বল বাতাস ;    
খোশমেজাজ শিউলি পলাশ জুড়ি  
দুই প্রহরের
ব্যস্ত দিনের শেষ -  
ক্লান্ত বিকেল, ‘হা-ডু-ডু’ হাঁক ।  

লঞ্চ ঘাটে যাত্রী সমাবেশ
গোমরানো স্রোতের জলে  
ভাসিয়ে দিচ্ছি অতীত ।


সেই সে দিনের বসন্তবায়
গিলে নেওয়া শ্বাস……
আটকে গলায় মাঝপথে
খুসখুসে কাশি ;    
ব্যবধানের হাওয়া ঠেলে
চাইছি ঠেলে পাঠাই দূরে -  
প্রতিপদে জোয়ার জল
খিলিখিলি হাসি ।