সুবান্ধব মম আত্মাসম, মার্টিন নাম যার
অন্তর আত্মায় এ নামখানি, জপি অনিবার !
তোমায় আমি চিঠি লিখি, ব্যথার আঁখি জলে !
শুধাই তোমায় ওহে সখা, আছো কি কুশলে ?
কোথায় তুমি, কোথায় আমি, কি যে ব্যবধান !
সখা বিনা দূর নিবাসে বাঁচে না এই প্রাণ !
শয়নে স্বপনে জাগরণে, তোমায় শুধু খুঁজি
আসবে আমার প্রাণো সখা, সহসা এই বুঝি !!
কবি গান উপভোগে, আসতো সখা পুলকে হেসে
যেতাম গানে দূর গাঁয়, দোঁহে মিলে, হরষে ভেসে !
মনে হলে সখার কথা, হৃদয়ে বাজে ব্যথা !
ভাসতে থাকি নয়ন নীরে, নিয়ে ব্যাকুলতা !!
একত্রে হাঁটতে যেতাম শেখর নগর গাঁয়
শস্য শ্যামল বিশাল মাঠ রেখে হাতের বাঁয় !
কখনো যেতাম কাজিশালে, মেঠো পথে হেঁটে
প্রতিদিন এমনিভাবে সময় যেতো কেটে।
দক্ষিণে চৌধুরী সড়ক ধরি’ যেতাম সুদূরে,
শরীর চর্চা করা হতো, এমনি ঘুরে ঘুরে।
বন্ধু আমায় ভালোবাসে,পরশ পাথরের মত !
পোড়া মনের বিষাদ-গ্লানি প্রকাশ করতো যত !!
কখনো স্বীয় সন্তানস্বরূপ, স্নেহ দান করে
সেই সুবাদে আমায় বিনা ঘোর বিরহে মরে !
এমন জালে আটকে আছি, মুক্তি নাহি পাই
প্রবাস নামক ফাঁদে পড়ি সর্বস্ব হারাই !
বিরহিত এই জীবনে বঞ্চনায় মরি আমি
কি যাতনায় রেখেছে আমায় সেই অন্তর্যামী !
সত্তরের দশক হতে পরিচয় তার সনে
উথলি উঠে সেই স্মৃতি, নিরন্তর এই মনে !
যেই বিরহে মরি আমি বন্ধুহীন পরবাসে
মিতালী করে প্রাণ সঞ্চার, মিতালী সব নাশে !
কুশলে থাকো ওহে বন্ধু, রাখো পরমে স্মরণ
যাচনা করি পরমে, ঘুচুক মনের রক্তক্ষরণ !!
বিরহীর এই চিঠিখানি, অশ্রু দিয়েই লেখা !
আশায় থেকো, তোমার আমার শিঘ্র হবে দেখা !!
তোমায় ভুলি নাই বন্ধু, কঠিন নিবাসে থাকি !
সাক্ষাতে কবো মনোকথা, আজ এখানেই রাখি ।।