গ্রীষ্ম গিয়ে বর্ষা এসে ভাসালো কতক স্থান
সুনামগঞ্জের ঈদ আনন্দ বন্যায় হলো ম্লান।
গ্রীষ্ম দিয়েছে চরম খরা পুড়েছে পীঠের চাম,              
হাটবাজারে সকল পণ্যের বাড়লো কঠিন দাম।    
  
বন্যা কেবল সিলেটে নয়, ভাসালো নেত্রকোণা;  
বানভাসি এই বাসিন্দাদের হাহুতাশ যায় শোনা।                      
আহার-পানীয় কোথায় পাবে এই দুর্ভোগের ক্ষণে  
সাপের উপদ্রব বাড়ছে দেদার বলছে সর্বজনে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে সকলেই হার মানে
রেমাল করলো তান্ডব লীলা বাংলার বহু স্থানে।
করোনা এসে কেড়ে নিয়েছিলো লাখো মানুষের প্রাণ;
সেই মহামারিকে ভুলবে না কেউ, থাকবে যে অম্লান।

একের পর এক দুর্যোগ যদি এইভাবে দেয় হানা;    
কেমনে বাঁচবে প্রাণীজগৎ, কারো কী আছে জানা?
নির্মম চিত্র দেখতে দেখতে প্রাণে বাড়ে হাহাকার,  
বিশ্বপিতা শুধু ঘুচাতে পারেন দুঃখ সবাকার।    

আষাঢ় হোক আনন্দঘন, না হোক বিষাদময়  
ঘোর আষাঢ়ে কবির মনে ভাবের সঞ্চার হয়।
শিশু গড়ায় কাগুজে নৌকা ভাসায় আষাঢ় জলে
শুকনো পুকুর ভরায় আজি অঝর আষাঢ় ঢলে।

বর্ষা সবার পছন্দের ঋতু কতো যে স্মৃতিময়  
জলকেলিতে অংশ লইতে সবাই মিলিত হয়।  
ঝিল্লিমুখর বর্ষা রাতে স্বপ্ন জাগে মানব মনে
সাথীরে লয়ে রাত্রি যাপন কি যে সুখ এই ক্ষণে।  

বর্ষা আসুক নববধু হয়ে, বর্ষা হোক বন্যাহীন
আসুক আষাঢ় দীপক রাগে বাজিয়ে রিনঝিন।
কাজের কাজীরা বেকার না হোক এমন আশা রাখি
কাব্যকথা শেষ করি এখন আষাঢ়ের সাথে থাকি।