আমাদের গ্রামটি যেন রঙতুলিতে আঁকা
ছায়াঢাকা ঘর-আঙ্গিনা আদর-স্নেহ মাখা!
প্রতিটি ঘর-দুয়ারে মায়ের আঁচল পাতা,
স্মৃতি দিয়ে তৈরি এ গ্রাম স্বপ্ন দিয়ে গাঁথা।
বহু সোনার ছেলে-মেয়ের এ গাঁয়েতে জন্ম
মেধাবী তারা অকুতোভয়, সেবাতে অদম্য।
এসো বন্ধু আমার সাথে তরুলতার ছায়
কৃষি খামার ডোবা-পুকুর আছে ডানে-বাঁয়।
ঘর থেকে পা বাড়ালে পিচঢালা পথ পাবে,
ধূলো-কাদা ছাড়াই তুমি আঙ্গিনাতে যাবে।
বহতা নদী ইছামতী রয়েছে গাঁয়ের ধারে
দুই তীরে সব বসতভিটে আছে সারে সারে।
জলকেলিতে মত্ত থাকি দীর্ঘ সময় ধরি’
স্নানটি সেরে মাতৃস্নেহে মধ্যাহ্নভোজ করি।
নিজ গাঁয়েতে মেলা বসে বছরে বহুবার
মেলাতে ঘুরে সারাটা দিন ক’রে দেই পার।
রকমারি মন্ডা মিঠাই কি যে সুবাস ছড়ায়
নাগরদোলায় চ’ড়ে সবে পুলকে মন ভরায়
আষাঢ়ে রথের মেলায় লটকন,নাবী আম,
দেশী ফলের সমারোহ পুরায় মনোস্কাম।
গাঁয়েতে আছে আরো স্বজন মাসী পিসি কাকা
কেউ না যদি থাকে গাঁয়ে জীবনটা হয় ফাঁকা।
মাতৃস্নেহ পাবে সেথায় চলো আমার সাথে
স্নেহাবেগে খাইয়ে দিবে হাত বুলিয়ে মাথে!
বিলম্ব আর করো না ভাই আমার সাথে আসো
আদর-স্নেহে মগন হয়ে সুখ সায়রে ভাসো!
গাঁয়ের নাম শুলপুর হয় মুন্সীগঞ্জ জেলা
ঢাকা শহর সন্নিকটে সময় লাগে না মেলা।
গাঁয়ের বুকে মহাসড়ক পদ্মার উপর দিয়ে
পদ্মা সেতু নির্মাণাধীন সোনার স্বপন নিয়ে!!
গাঁয়ের কথা বলতে গেলে থাকবে বহু বাকি
হিন্দু মুসলিম খিস্টান ভাই মিলেমিশে থাকি।
কৃষক কামার জেলে ছুতার এ গাঁয়েতে বাস
দুঃখে সুখে এক কাতারে কাটাই বারো মাস।
এসো সখা আমার সাথে নিবিড় সবুজ গাঁয়
লাঘব হবে মনোব্যথা বটের শীতল ছায়!
যাবে যদি আমার সাথে গাঁয়ের পথটি ধরো
শহর ছেড়ে গ্রামে এসে, জীবন-যাপন করো।