ওহে ঘাতক “করোনা” ,      সহসা কেন সর না,
     নিত্য কেড়ে নিচ্ছ কত শত প্রাণ,  
নেই তব দয়া-মায়া,       তব নাম কালছায়া,
     “করোনা” দয়া করে কর প্রস্থান।
হরে নিলে কাজকর্ম,        দূরে ঠেলে দিলে ধর্ম,
     তাই অবিরাম প্রাণ কাঁপে ডরে,
থাকো তুমি নিরাকারে,      হানা দিচ্ছ দ্বারে দ্বারে,
     নিশ্চুপে নিচ্ছ প্রাণ থরেথরে ।
অর্থনীতি ধরাশায়ী,        দুরবস্থার কে দায়ী,
     "মহামারী" তুমি, শিঘ্র চলে যাও,  
জানি আমি মহাপাপী,      তাই আমি অনুতাপী,
     পরমে বলি, তুমি ক্ষমা করে দাও।
নিশিতে ঘুমাতে যাই,        দুনয়নে ঘুম নাই,
     হার্টবিট ঠক ঠক করে বাজে,
ঈশ-কৃপা চাই আমি,       শোন হে জগতস্বামী,
      কৃপাবৃষ্টি ঝরাও জীবের মাঝে।
আজ এই ক্রান্তিক্ষণে,        থাকো তব ভক্তসনে,  
     পরম ব্যতীত নেই কোন গতি,
শোন ওগো বিশ্বপতি,        তুমি অগতির গতি,
     করুণা কর তুমি হে ত্রাণপতি।
গৃহবন্দী আছি সবে,         পরিত্রাণ পাব কবে,
     বন্দীদশা হল নিত্যসাথী  আজ,
শমন ঘুরছে পিছে,          স্বপ্নগুলি হল মিছে,
     সহসা নামবে জীবনের সাঁঝ!
নিশ্চিত মরণ জানি,        শমন করে হানাহানি,
     ছাড়তে হবে এ সুন্দর ভুবন,
আজ বড় নিরুপায়,          প্রাণবায়ু উড়ে যায়,
     দ্বারে খাড়া যম, নাশিতে জীবন।
সর্বজনতার প্রতি,         আমি করি এ মিনতি,
      সাবধানে থাকুন ঘরের ভিতরে,
নেই ভিন্ন প্রতিকার,        ধ্বংস থেকে বাঁচবার,
      ভাইরাস কত প্রাণ খাচ্ছে ধ’রে ধ’রে!
তাই হাতজোড় করি,         বিমূর্ত চরণে পড়ি,
       রক্ষা কর ওগো জগতের স্বামী,
তুমি পতিতপাবন,           করি তব অনুধাবন,
       মহামারী শান্ত কর হে অন্তর্যামী।
“করোনা” শোনেনা কথা,         অন্তরে অনন্ত ব্যথা,
     তুমি প্রভু বুঝো মনের রোদন,
ওগো দয়ার সাগর,           তোমাতে করি নির্ভর,
      আমাদের পাপ কর বিমোচন।
বিশ্বব্যাপী "মহামারী"           কি করে বাঁচতে পারি,
      প্রাণঘাতী “করোনা” দাঁড়িয়ে দ্বারে,
প্রার্থনায় বসে না মন,        আতঙ্কিত সারাক্ষণ,
      যমদূত এলো বুঝি প্রাণসংহারে ।  
মৃত্যুর মিছিল যত,           প্রত্যহ দেখব কত,
      বাঁচার নেই আর আশা-ভরসা,
বিনীত প্রার্থনা করি,          হে প্রভু তোমায় স্মরি,
      দূর হোক "ভাইরাস", এই প্রত্যাশা।।