ভোরের বায়ু ঝাপটা মেরে বইছে চোখে মুখে,
তাইতো নাচে মন ময়ূরী অজানা কোন্ সুখে ।
মায়ের হাতের রান্না খেতে মনে আশা জাগে,
যা কিছু মা রান্না করে সবই সুস্বাদ লাগে ।
আমার দেশে সুখে-দুঃখে আছে নর নারী;
সুধা মাখা তাদের ভাষা ভুলতে কি তাই পারি?
মেঠো পথে মায়ের দুলাল ধূলি মেখে খেলে,
জল কেলিতে মাতোয়ারা গাঁয়ের দামাল ছেলে ।
শীত শুরুতে হিমেল বাতাস দোলা দিয়ে যায়
ঝাঁক বেঁধে বক উড়ে চলে আপন ঠিকানায় ।
বারোটি মাস ষড়ঋতু নিজের ঢঙে ঘুরে,
নবান্নের গীতে মগন কৃষাণ আপন সুরে ।
পৌষ পার্বণের পিঠা পুলির ঘ্রাণের কি যে রেশ
সেই সুগন্ধে সবাই মাতাল, পাগল পারা দেশ ।
আজি বঙ্গ মাকে ঘিরে মনে জাগে অনেক কথা,
বেজে উঠে ধমনীতে প্রাণের গোপন ব্যথা ।
রক্ত দিয়ে দেশ এনেছে আমার শহীদ ভাই
স্মৃতি সৌধে তাদের কান্না আজও শুনতে পাই।
সুখ অর্জিতে শহীদ হল কত মায়ের ছেলে
মুক্তি যোদ্ধা  নামটি পেলো বুকের রক্ত ঢেলে ।
যত রত্ন সোনার বাংলায়, অন্য কোথাও নাই,  
যুক্তরাষ্ট্রে বসত করি সেই পাওয়া কি পাই ?
কি যাতনায় দেশ প্রেমিকের বিরহে দিন কাটে  
প্রবাস নামক বন্দীশালে বেদনায় বুক ফাটে  
স্বদেশের গুন গাইতে গেলে থাকবে বহু বাকী,
এসো সবাই দেশ মাতাকে সযতনে রাখি ।
সাঙ্গ করি মায়ের বিষয় আজকের এ আসরে
কাজের তাড়ায় বন্দী জীবন ব্যাকুলতায় মরে ।