আকাশ হ’তে ঝরছে বারি, এই তো আষাঢ় ঢল,
অঝোর ধারায় বর্ষে বাদল, ছলছল, কলকল ।  
চাতক উড়ছে মহা সুখে, ওই উপর গগনে
সাত সাগরের জল পিপাসা, মিটাবে এই ক্ষণে ।
চৌদিকে আজ ঘন আঁধার মেঘ স্নিগ্ধ রঙ্গে ;
ভরছে সাগর নদী-নালা, বইছে নতুন ঢঙ্গে ।  
নবীন জলের সৌরভে আজ, আকুল করে মন,
ভাবাবেগে ভরিয়ে তুলে, এই আষাঢ়ের ক্ষণ ।
দামাল ছেলে মহানন্দে মত্ত আষাঢ় জলে,
নতুন জলে ভাসিয়ে ভেলা খেলছে দলে দলে ।
ডাকছে ধেনু হাম্বা রবে, ক্ষুধায় কাতর হ’য়ে  
রাখাল গেছে ঘাস সন্ধানে, কাঁচি মাথলা ল’য়ে
বালিকারা পুতুল খেলায় মত্ত ঘরের কোণে ;
মা ব্যস্ত রসুই ঘরে, রান্নার আয়োজনে ।
মুষল ধারায় ঘর-দোর সব করছে ডুবুডুবু ;
কৃষক-শ্রমিক বেকার ব’সে খাচ্ছে হাবুডুবু ।
আষাঢ় যেমনি হর্ষ আনে, দুঃখ আনে বটে  ,
অযাচিত দুর্ঘটনা, বর্ষাকালেই ঘটে ।
ট্রলার গুলো খাল-নদীতে চলছে সারাদিন,
হাঁস গুলো সব নাচে জলে, তাধিন, তাধিন ।
ঘরের চালে গাছের ডালে ঝরছে ধারা অঝোরে,
মেঘ ষোড়শী নৃত্যে মগন, বাজিয়ে নূপুর সজোরে ।
আষাঢ় আমার অতি প্রিয়, মনে জাগায় প্রীতি ,
ছেলে বেলার আষাঢ় দিনের অম্লান শত স্মৃতি ।