ভালবাসো কারে , বলনা শুনি, কোন্ , সেই সহচর ?
কোন্  আভিমানী প্রেম দিয়ে ক্ষণে , সহসা হ’ল পর ?
যার সনে বাঁধবে চিরনীড়, তবে কেন হ’ল সে বাম ?
রাধিকার মত ভালবাসলে যারে, সে হ’ল না কেন শ্যাম ?
খেদ করোনা এমনি তুমি , অবিরাম, নিশি দিন
নিখাদ প্রেম চির জাগরূক , হয়না কভু লীন ।
প্রেম বিলাসিনী, ওগো দূরের বন্ধু , নীরবে কেঁদোনা আর ,
সম্মুখ পানে হও আগুয়ান , সাথীরে সাধো অনিবার ।
তব প্রেম সাধনা হয় যদি প্রাণ পণ, হোক নিরন্তর ,
হৃদি’ বাগিচা খানি ফুলেতে ভরবে পুনঃ খুশী হবে মধুকর !
ধৈর্য্যের সাথে এগোতে থাকো , নিরাশ হ’য়োনা কভু
স্বপ্ন সফল করতে গিয়ে , বাধা আসবে যে , তবু ।
প্রেমের বিজয় আসবে একদিন , সে কথা ধ্রুব সত্য ,
হাসি-খুশীতে ভরবে জীবন, অনুরাগে রবে মত্ত !
এক বৃন্তে দু’টি কুসুম যদি হই , তুমি আর আমি !
তুমি যদি হও শ্রেষ্ঠ দোসর , আমি হ’বো তব স্বামী !
তুমি আমার আদর-সমাদর , সান্ত্বনা ভেবোনা কভু
সকল বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে, সম্মুখে যাবো তবু ।
ওগো প্রণয়িনী, মন মাধুরী, চপলা প্রেয়সী ধনি ,
এলো চুলে আসো, খিল্-খিল্ হাসো, তুমি যে নয়নমণি !
ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিহত করে, গড়বো প্রেমের তাজ মহল !
সুধা সাগরে প্রেম কেলিক্ষণে , করবো সুখের কোলাহল !!
মানব-মানবী কিসের দায় , করিছে প্রেমের খেলা ?
করি পরাণ পণ, রক্ষিতে যৌবন , ডুবিছে জীবন বেলা ।
নর মরিছে নারীর তরে, খুনাখুনী আজব কান্ড !
নারী ভেবে মরে, নরের কাছে , রয়েছে সুধা-ভান্ড !
এইটুকু প্রাণে, এই মর্ত্যধামে, হন্নে হতেছে মানুষ ,  
হাহুতাশ ভরা মানব দেহটি , যেমনি রঙ্গীন ফানুস !
নরনারী এই মহামারীসম প্রেম পিপাসায় ভুগে ,
সকল জীবাত্মা, জীবনাবাসন ঘটায় প্রেমের রোগে !
খেদ ক’রে কোন ফল হবেনা, সান্ত্বনায় বাঁধো বুক ,
খোঁজ ক’রে লও সন্নিকটে , যেথায় পরম সুখ !!
বিধির বিধান এমনই যে, প্রেম দিয়ে গড়া ভুবন ,
একে-অপরের প্রেম-বাঁধনে কাটায় সারা জীবন ।  
প্রেম-বিচ্ছেদে বিষাদ আসে, রচিত হয় প্রেম কাহিনী
এহেন কারণে, প্রেমের ভুবনে, নারী হয় কলঙ্কিনী ।
সুতরাং যদি পুনরায় তুমি প্রেম কর নিবেদন
কল্প তরু মেনে লও আমায়, সূচনা কর পূজন ।
তোমায় আমি ফেলে দিবোনা, টেনে নিবো অকাতরে ,
পুষবো তোমাকে তোতা পাখীসম, এই ধরণীর ‘পরে !!
শুভ বিদায় কামনা করে এইবার আমি আসি,  
তোমাকে আমি বরণ করবো, বাজিয়ে প্রেমের বাঁশী !!