গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত ষড়ঋতু তার নাম
বারোটি মাস আবর্তিত হয় আপন মহিমায় সারা বঙ্গময়
নানা বর্ণে নানা ঢঙে ফিরে ফিরে এসে গড়ায় বন গ্রামগঞ্জ
প্রতিটি ঋতু দুই মাস করে স্থায়ী রয় হেথায় সব সময়।
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ অতি উষ্ণতায় করে ফলের আয়োজন
এরপর আষাঢ় শ্রাবণ আনে বর্ষা, চৌদিকে জলের সমাগম
ভাদ্র আশ্বিন শরৎকাল নদীর তীরে, চরে চরে শুভ্র কাশফুল
কার্তিক অগ্রহায়ণ হেমন্তকাল, কৃষকের মাঠে সোনালি ধান।
পৌষ মাঘ শীতকাল সজীবতায় প্রাণের আয়ু বৃদ্ধি পায়
নিশি হতে প্রাতে শাকসবজি শিশিরসিক্ত হয়ে প্রাণবন্ত থাকে
ফাল্গুন চৈত্র বসন্তকালে বৃক্ষ তরুলতার ফুলে ফুলে উদ্দাম যৌবন
জীব জীবাত্মারও দেহমনে উচ্ছল যৌবন উদয় হয় একইভাবে।
আমাদের রূপসী বাংলা বারোটি মাস আবর্তিত নিজস্ব রঙ্গে-ঢঙে
আজকের কোমলমতিরা কতখানি ষড়ঋতুকে জানে তা জানা নেই
বাংলার ঋতু সম্পর্কিত কা’রবা কতটুকু ধারণা তা নিয়ে সন্দিহান
যেখানে ইংরেজি সন-তারিখের প্রাধান্যসহ ব্যবহার সর্বত্র প্রচলিত।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ষড়ঋতু বাঙালী জাতির অহংকার ও গর্ব
জীবন আর দেহমনের সাথে ষড়ঋতু প্রেমিক-প্রেমিকার মত জড়িয়ে আছে।
এই ছন্দহীন কাব্যে আমি বলব যে, স্বদেশের প্রতি ঋতুর রূপ রংকে যেন জীবনে
ধারন ও লালন করি; দেশকে রক্ষা ও লালন করতে হবে স্বীয় সন্তানের মত।
ইদানীং স্বাধীন বাংলাদেশকে রক্তাক্ত রণক্ষত্র করা হয়েছে যা সবার অকাম্য,
যেখানে ঊর্ধ্বতন মহলের চরম অবহেলাসহ অন্ধত্যের ভূমিকা ছিল।
এরপর ছিল আসুরিক কর্মকাণ্ড, শিশু হত্যা নরহত্যা শ্লিলতাহানিও বাদ যায় নি
এখন গরু মেরে জুতা দানের নাটকীয়তা এটি সবাই পরিষ্কার বোঝে।
আমার ভাই-সন্তানের প্রাণ নাশ হয়েছে সে অভাব পূরণ হবে কিভাবে?
এই জোরালো প্রশ্নই থেকে যাবে চিরদিন অহর্নিশি অনির্বাণভাবে।
মাতাপিতার বুকে অনির্বাণ শোকাগ্নি কে বা কা’রা নিভাতে পারবে?
অর্থ দ্বারা খাদ্য সামগ্রী দ্বারা কস্মিনকালেও সেই আগুন নির্বাপিত হবার নয়।
দেশের প্রতি শ্রদ্ধা মমতা প্রেম প্রত্যেকের জীবনমনে লালন ও ধারন করা
একান্ত নাগরিক স্বায়িত্ব ও কর্তব্য; তাই আসুন সকলেই কাঁধে কাঁধ রাখি
দেশকে বাঁচাই, দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখি, জনগণের সম্পদ রক্ষা করি।
ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্ত এবং আড়াই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানীকে স্মরণে রাখি।
আসুন আজ এই অঙ্গিকার করি যে, সকলেই নিখুঁত, খাঁটি বাঙালী হয়ে উঠি।