প্রশ্ন-ভরা হৃদয়-মন,       সুদিন আসবে কখন,
      কবে দূর হবে প্রাণঘাতী ভাইরাস?
করোনা যবে চ’লে যাবে,    ধরা সেদিন মুক্তি পাবে,
      মানব জীবন আর হবে না বিনাশ।
অভয় আসুক ধরায়,        জীবাণু যেন না ছড়ায়,
      সবাকার মনে কেবল এই কামনা,
বিশ্বপতি নালিশ শোন,       উপায় আর নেই কোন,
      শোন প্রভু আর্তনাদ ঘুচাও যাতনা।
মানুষের পাপের দায়ে,       রয়েছ কী মুখ ফিরায়ে,
      জানি দয়াল তোমার ক্রোধ থামে নাই,  
তুমি পরম দয়াময়,         তোমার খ্যাতি বিশ্বময়,
      করজোড়ে আমি তব কৃপাভিক্ষা চাই।
আমি অতি মূঢ়মতি,          তুমি অগতির গতি,
      নম্রপ্রার্থনা মম শ্রবণ করো প্রভু,
তুমি যে পারের কান্ডারী,       পার করো হে তাড়াতাড়ি,
      তোমার পবিত্র নাম ভুলব না কভু।
খেলবে শিশু মনানন্দে,        গাইবে গান সুখছন্দে,
      হর্ষিত কোলাহলে জগৎ যাবে ভ’রে,
সেই দিন ফিরে আসুক,         হর্ষধারে বিশ্ব ভাসুক
      প্রতীক্ষায় চেয়ে আছি সুদিনের তরে।
ভয়ে ভয়ে কাটাই দিন,      মরে বাদশা মরে দীন,
      প্রিয়জন চ’লে যায় না ফেরার দেশে,
করোনাগ্রস্ত লোক যত,       নিয়ত মরে কত শত,
      যুদ্ধ ক’রে পরাভূত হয় অবশেষে!
এই যুদ্ধে বিজয়ী হ’লে,       যথা মরুতে ফল ফলে,
      বেশীরভাগ রোগী মৃত্যুবরণ করে!
চিকিৎসা বাণিজ্য হয়,        এরা মোটেও সৎ নয়,
      স্বদেশের ভাবমূর্তি ওরা নিচ্ছে হ’রে।
ত্রাণ সামগ্রী হচ্ছে চুরি,        পুঁজি করছে ভূরি ভূরি,
      আদৌ এদের যথোচিত শাস্তি হবে কী?
নামী দলের মামা-চাচা,       চুরি ক’রে জীবন খাসা,
      লুটেরা বেহায়াদের পাঁচ আঙুলে ঘি!
দুঃসহ করোনার জ্বালা,        সেই সাথে চোরের পালা,
      স্পষ্টতই ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’!
আমলা নিযুক্ত লুণ্ঠনে,         গরীবরা বাঁচে কেমনে,
      বেঈমানের দল করছে যা ইচ্ছে তা।
কুকাজের হেতুবশত,         বিধাতা খুব মর্মাহত,
      সেহেতু শাস্তিস্বরূপ মহামারী আসে,
যার স্বজন চ’লে যায়,        শোকার্ত করে হায় হায়,
      কাতরে বিয়োগব্যথায় অশ্রুতে ভাসে।
শুভদিন ফিরে আসুক,        বিশ্ববাসী ফের হাসুক,
      শিক্ষার্থী ফিরে যাক বিদ্যামাতার ঘরে,
দলে দলে খেলার মাঠে,         খেলবে খেলা একসাথে,
      দেখবে চেয়ে সর্বজন দু’চক্ষু ভ’রে।
      সুদিনের অনুভূতি সবার অন্তরে।।