বাবা নামের বটবৃক্ষ যার ছায়াতে আছে,
দুঃখ নামের নদী তাঁহার থাকে নাতো পাশে।


শিশু কালের শত আবদার
গাড়ি দাও,
বাড়ি দাও,
সব খেলনা এনে দাও
এটা চাই ,
ওটা চাই,
পুতুলের মতো নাচাই
অনেক ব্যথা বুকে নিয়ে,
একবেলা খাবার কম খেয়ে,
দেখে না কেউ চক্ষু মেলিয়া,
বাবার মনে কষ্টেরা বাড়ে ।
বিসর্জিত সব সুখ ,
বাবা দেখে সন্তানের প্রিয় মুখ।


পড়া লেখা  করি যখন,
বন্ধুদের সঙ্গে করি আলাপন,
আজকে লাগবে হাজার টাকা
পকেট বাবার সত্যি ফাঁকা।
আজি লাগবে ! জ্বি বাবা ,
শখের কোনো জিনিস বেচে
কিছু টাকা উধার করে।
এই নে বাবু,
মন দিয়ে পড়িস কিন্তু
অনেক বড় হতে হবে ,
দেশ বিদেশে নাম কামাবে।


বদলালো ক্ষণ,
আমিও যে বাবা এখন!
পাহাড় সম কষ্ট নিয়ে,
হাসি মুখে করি আলাপন।
এখন বুঝি  কেন বলতো বাবা
আমার অনেক নতুন জামা
এই পুজোতে তোরা সাজা,
মাংস পোলাও ভাল্লাগেনা
সবজি টা আমায় বাড়িয়ে দে না।


এখন কি সুখী বাবা ?
সেটা আমার ভালোই জানা
প্রিয় ছেলে ঝাড়ি  দেওয়া
যেন, প্রতিদিনের ঔষুধ খাওয়া।
ক্ষমা করো মোর ভগবান
দিলাম না সুখ , দিলাম না মান
তুমি আমার স্বর্গ বাবা
তুমি গুরুজন,
স্বর্গ সুখ চাইনা বাবা
সেবা করতে দিও যুগল চরণ।


করি মিনতি ,
দুই হাত মেগে
সকল বাবাদের সন্তান।
দিও না কষ্ট বাবার মনে,
পূজিও তারে খুব সযতনে
তোমার বাড়িবে সম্মান।