মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে তার কর্মে
কারো বা আচার আচরণে, নতুবা মর্মে।


কেউ ভালোবাসে, কিন্তু খুলে বলতে পারে না,
কেউ বা অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মন ভুলিয়ে, সর্বস্ব কেড়ে নিতে ও দ্বিধা বোধ করে না।


কেউবা হাউমাউ চিৎকার করে,  আবেগ বা অনুভূতি  প্রকাশ করে,
কেউবা স্থির থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে কৌশলগত ভাবে, পরিস্থিতি মোকাবেলা করে।


আবার কেউ বা থাকে খুবই আবেগী, কিছু না বলেই কাঁদতে থাকে,
আবার কেউবা মানুষ কে জানিয়ে দশ কান ভারী করে জল ঘোলাটে করে।


কেউ থাকে খুবই অভিমানী নিজ থেকে কিছুই বলবে না,
আবার কেউ  বন্ধুর পরামর্শ ছাড়া এক পা ও চলবে না ।


কেউ ঘরের কথা বাহিরে বলে , বাহিরের কথা ঘরে,
কেউ বা পিতামাতাকে বাদ দিয়ে শশুরের কথায় চলে।


কেউ বিনয়ের স্বরে কথা বলে , মনযোগ দিয়েও শোনে,
আবার কেউ অভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে, গালি দিয়ে কথা বলে।


কারো কথা শোনার জন্য মানুষ, টিকেট কেটে আসে,
আবার, কাউকে দেখলেই কেটে পড়ে, আসে না কেউ পাশে।


কেউ করে যায় সমাজসেবা, দ্বীনহিনে করে দান,
আবার কেউ সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে করে, তাজা রক্ত পান।


দায়িত্ব বোধে কেউ কাজ করে যায়, রাখে না কিছু বাকি,
আবার কেউ লোক দেখানোর তরে কর্ম করে, ষোলো নাই তার ফাঁকি।


এই সবই মানুষের জীবনের কথা, ব্যক্তি বিশেষের কাজ,
সু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন লোকই বদলাতে পারে, দেশ জাতি সমাজ।