অজানা এক ব্যাধিতে জর্জরিত
আমার মায়ের দেহ,
দুচোখে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে
কে দিবে! আমায় ,ভালোবাসার স্নেহ।


আজ মনে পড়ে, আমার উড়ন্ত শৈশবে,
বিছিয়ে দিতে শাড়ির আঁচল খানা।
অভাবের তাড়নায় সংসারে,দিবা নিশি হিয়া জ্বলে,
মেনে নিলে সব আবদার করোনি মানা ৷


বাবার চাকুরীর সামান্য আয়ে,
দশ বারো জনের সংসার ,
নিজে না খেয়ে অন্ন,তুলে দিয়েছো মুখে।
আজ ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা,মা,
তোমার সন্তানের অগাধ টাকা,
সুখের দেখা পেয়েও মাগো, আছি মহামারীর দুঃখে।


আজ তুমি কত দূরে, ভাবছো ক্লিনিকে শুয়ে শুয়ে,
আমাদের দেখে রাখবে কে?
কি ভাবছো বলোনা জননী? তুমি মাগো স্বর্গ জানি।
পিতাকে সঙ্গে লয়ে থাকবো একসাথে।


মিছে চিন্তা করো না মা,
আছে যত সাধ্য সাধ,
চিকিৎসা করবো শেষ অবধি,
সেবা করবো দিন রাত।
পুত্র কন্যা নাতনি নাতি,
আত্মার আত্মীয় সন্তানাদি।
বুক পেতে দিবো আসন পাতি,
পরশ দিবো  যেন শীতলপাটি।


কিন্তু! আজ কি যে হলো মা ,
চোখে ঝরে অঝোর ধারা,
মন বুঝে না কারো সান্ত্বনা।
কোনো কাজেই মন বসে না,
কিছুই আর ভালো লাগে না,
বুকের ভিতর কষ্টের হাহাকার,অসহ্য যন্ত্রণা।


এমন ব্যাধি যেনো শত্রুর ও না হয় মা,
বাঁচার আকুতিটাও হয় পরাজয়,
পৃথিবীর মানব সবে করে যাও দোয়া
থেরাপির ব্যথা যেন, হয় ফুলের ছোঁয়া।
আরোগ্য কামনায় মোরা,মা যে মনি রত্ন,
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক,শেষ জীবনের স্বপ্ন।


(আমাদের প্রধান শিক্ষক মনির স্যারের মায়ের অসুস্থতার জন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছি)