আলতা রাঙা নূপুর পায়ে
আঁকা বাঁকা পথটি ধরে
জল আনিতে যায় গো বধূ
জল আনিতে যায়,
                   সে উদাস হয়ে রয় চেয়ে
                   চোখ দিয়ে জল যায় বেয়ে
                    কি জানি কি ভাবে বসে
নদীর কিনারায়......


একদিন তাঁরে ডেকে বলি
কিগো ভেবে যাও,
কল্পনাতে সে ভাসিয়ে নিলো
শিমুল তলীর গাঁও।
                       তাঁর, শৈশবের ঐ দিনগুলি
                        দুষ্টামি আর খুনসুটি
                      পুতুলের ঘরে, বর আসবে বলে
তাই, থাকতো পাহারায়.....


পাড়ায় যত খেলার সাথী
থাকতো খেলায় মাতামাতি,
রং বেরঙের ফুল বনে
ফুল কুড়াতো আপন মনে।
                           পুকুর ডোবায় সাঁতার দিত
                           ঝড়ের দিনে আম কুড়াতো
                     গাঁয়ের মেলায় , সাঁঝের বেলায়
চড়তো, নাগরদোলায়..........


একদিন বৈশাখী ঝড় এসে
জীবনের রঙ পাল্টে গেছে,
বাবার বাড়ি ছেড়ে হলো নতুন একটা ঘর
শাসন সোহাগ করে সে যে আমার নাকি বর!
                                 নিয়মনীতি ভাল্লাগেনা
                               ঘরের ভিতর মন টিকেনা
                                জীবন যুদ্ধে, এই সমুদ্রে
বাঁচার কি উপায়...........