কেমন আছো?
নিশ্চয়ই ভালো ;
জানো আজকাল  কুয়াশা স্নাত ভোরে ঘাসের উপর জমে থাকা শিশিরে খালি পায়ে আর হাঁটা হয় না। শুনা হয় না, পাখিদের সুমধুর গান।
দেখা হয় না ভোরের রবি প্রকৃতির নিস্তব্ধতা।


ভাবছো কেন?
ভোর কখন হয় টেরইতো পাইনা! ঘুম ভাঙে যখন সূর্য মাথার উপরে; রাত তিনটায় ঘরে ফিরি! সন্ধ্যা থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে, কখনোবা অখ্যাত কোনো বারে বা ক্যাসিনোতে! কি সব ছাইপাশ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে থাকি; ড্রাইভার রুমে এসে শুইয়ে রাখে।


কি হলো চুপচাপ হয়েই আছো কেন?
মাতাল হলেও কথা বলতে গিয়ে কোনো হীনমন্যতায় ভুগতে হয় না।
ভাবছো স্ত্রী আমার কি করে ?
তোমার মনে আছে! নির্জন বনে বা ঘাসের উপর বসে যখন তোমার দুইটি হাত ধরে কথা দিয়েছিলাম তুমি আমার জীবনের প্রথম ও শেষ আশ্রয়।তোমাকে ছাড়া দ্বিতীয় কোনো নারী এই হৃদয়ে বসবাসের অযোগ্য। হ্যাঁ, আমি কথা রেখেছি। একাকীত্ব, নির্জনতা, তোমার দেওয়া কিছু উপহার এগুলো দেখেই কেটে যায় ।


তুমি স্বপ্ন দেখো না?
যাক , অন্তত কথা তো বললে! এখন আর স্বপ্ন দেখি না,এখন মনে নেই কোনো আনন্দ, নেই কারো অপেক্ষা, নেই হারানোর বেদনা। তোমার মনে পড়ে! পূর্ণিমার জন্য প্রতীক্ষায় থাকতাম, চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হতো হৃদয় যুগল! চাঁপা বনে দোলনায় দুলতে দুলতে তুমি গাইতে … চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে । আমি বিভোর হয়ে শুনতাম।এখনো  গান শুনি, তবে সেই গানে প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে নাচতে শুরু করি।


ফিরে এসো আলোর পথে!তোমার জন্যে না হোক তোমার একমাত্র অবলম্বন মায়ের জন্য! প্লিজ একটা বিয়ে করে সংসারী হও!


না ওই সংসার নামক বেড়াজালে নিজেকে আর জড়াতে চাইনা। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেকে বদলাতে, ব্যবসায় মন দিতে।


আর হ্যাঁ, তোমাকে আমি ছাড়তে চাইনি; তোমাতেই আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি। কিন্তু ভাগ্যের লিখন কেউই খন্ডাতে পারেনা। সেই দিন বাবার জীবন বাঁচাতেই রাহুলকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। বিধাতা মানুষের জীবনকে মুহূর্তেই বদলে দিতে পারে। সেটার এক জ্বলন্ত উদাহরণ আমি নিজেই।


তোমার কথা বলো, কেমন কাটছে তোমার সংসার জীবন?
ভালই! রাহুল খুবই ভালো ঠিক তোমার মতো, খুবই কেয়ার করে আমাকে ।একমাত্র ছেলে দিব্য কে নিয়েই আমাদের ছোট্ট সংসার। রাহুল আসছে আমাকে যেতে হবে!


ঠিক আছে! এই তুমি পরজন্ম বিশ্বাস করো?
কেন বলতো?
এ জনমে হয়তো তোমাকে আমার করে পাওয়া হয় নি! পরজনমে তোমার প্রতীক্ষায় থাকবো! আসবে তো ?