আজকাল আমরা অকারণেই মিথ্যা বলে থাকি,
মিথ্যে বলার ট্রেডিশন এমন হয়েছে যে সত্য ঘটনা মিথ্যে দিয়ে ঢাকতে পারলেই বাঁচি।


আমরা মিথ্যে বলি অপ্রয়োজনে, নির্দ্বিধায়, কৌশলে খুব সযত্নে,
আমরা মিথ্যে বলি দিনকে দিন, মাসকে মাস, বছরের পর বছর ধরে।


কখনোই ভাবিনি , মিথ্যে বলা মহাপাপ যা  শুনেছি গুরুজনে ,পড়েছি বইয়ের পাতায়;
কখনোই গায়ে মাখিনি একটি মিথ্যে কথা ঢাকতে গিয়ে হাজার টা মিথ্যের দিকে পা বাড়াই।


কেন এত মিথ্যে ?
অফিসের বড় সাহেবও শত শত কর্মীর সামনে হাসিমুখে নেয় মিথ্যার আশ্রয়,
মোবাইল ফোনে তো হরদম বলি মিথ্যে, এভাবেই দিয়ে যাই স্বজনদের প্রশ্রয়।


মিথ্যে বলে লাভ!
নিজের অবস্থান কে  নড়বড় করি নিজে সাথে বিশ্বস্ত লোকেদের বিশ্বাস হারাই,
শ্রদ্ধা সন্মান সব বিলীন হয় কর্মে বা সমাজে আবার মাঝেমধ্যে গালিও শুনতে পাই।


তাহলে সত্য কি?
আমি যা দেখছি, যা অনুভব করেছি, কাটচাট না করে ততটুকু অপরের মঙ্গলের জন্যই বলাই সত্য।
এই সত্যের উপর ধর্ম দাঁড়িয়ে, এই সত্যটাই হলো সংযম, সত্য না মানলে মানব জনমটাই ব্যর্থ।


তাহলে সত্য বলে লাভ কি?
সত্য প্রকাশে নিজের আত্মতৃপ্তির সাথে নিজের অবস্থান হয় শক্ত ও সম্মানীয়,
সত্য টাই ধর্ম, এতেই মানব জাতির কল্যাণ ,সাথে হয় পুন্য ও সকলের পূজনীয়।


সত্যের প্রতিমূর্তি ছিলেন যুধিষ্ঠির, ভগবানের কথাতেও মিথ্যে বলে করেছিলেন নরক দর্শন।
তাহলে আমি আপনি সহজেই অনুমান করতে পারি যে পরকালে আমাদের উপর কি হতে পারে বর্ষণ।


আমাদের করণীয় কি?
পৃথিবীর এই হানাহানি, মারামারি, লুটপাট, ধর্ষন সবই বন্ধ হবে একমাত্র সত্যে,
শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারবো
স্বর্গের সুখ অনুভব করবো এই মর্তে।