কে তুমি আমায় জাগালে কার্তিকের প্রাতঃকালে
এযে গোধূলির রঙে সময় এগিয়ে যায় যেন সায়াহ্নে ।
তবে কেন পশ্চিম দিকচক্রবালে ললাট রক্তিম থালা
এ যে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত কোনোটিই নয়
তবে কি ভোরের চাঁদ ?
এমনতো কথা ছিল না ।
সমস্ত রাত কার্তিকের আকাশ তার জন্য যে পুস্পসজ্জায়িত
যে শয্যা বিছিয়ে রেখেছিল সে কি তার আস্বাদ পেয়েছে ?
তাহলে কেন এই ফুলশয্যাহীন কার্তিকের ভোরে রক্তিম হয়ে উঠল,
আমাকে কেনই বা হাতছানি দিয়ে মায়াজালে বাঁধলে ?
তবে কি পূব আকাশে সূর্য তার কেশর ছড়িয়েছে !
যা দেখে ভোরের চাঁদ তার পেখম মেলে তাকে ডাকে
আমি তবে কেন এমন দুঃসাহসিক স্পর্ধা নিয়ে দিগন্তে অন্যমনস্ক ?
এমন সুন্দর ভাবে কোন কিশোরী কিংবা যুবতী আমায় ডাকে নি কখনো
যার দীর্ঘ প্রতীক্ষায় আমি ছুটেছি দিক্বিদিক – সে এক যুগ ।
জানালার ফাঁকে তাকে প্রিয় থেকে প্রিয়তর মনে হয়
বেশ মনে হয় ।