'' শ্রীচরণেষু ভগবান ,
           আপনি তো মহান-
                     স্বরব্বশক্তীমান ।
কৌতুহল আছে অনেক, কয়েকটি  আপনাদের নিয়েই -
             দয়া কোরে সন্তানের
                        অজানার  ক্ষুদা   মেটান !


আজ ও জানি না আপনার  পরিচয় ও  পদবী ,
         আপনি  থাকেন  কোথায়,
                  কী ই বা সেই ঠিকানা  ?
অনেক কিছু ই তো  আমরা জানি না ,
  ঠিক আছে  বাবা ,  দয়া কোরে উত্তেজিত হবেন না !


হালকা হাসিরচ্ছলেই  বলো- কেনো এমন হোল ?
     যুগ যুগান্ত একই রূপে    দেখা দেও কেন তুমি -
           ভুবন মোহিনী  অরূপ রূপের
                     রহস্যটা কী-  জানতে চাই আমি ;
            শ্রী শ্রী ভগবান , একটু বলুন না !
    কি মাখেন মাথায় , চুল কেন আপনার পাকে না ?
             বুড়ো হোলেও
                  আপনার  মাথায়  টাক কেন দেখি না ?
        এত মিঠাই- মন্ডা রোজ খাচ্ছেন -
              'ডাইবেটিক দেবতা '  তো -
                            ডাক্তাররাও  বলে না !
       কী সুন্দর চোখ-নাক-ঠোট ,
               ত্বকে কী তবে 'ফেসিওয়াল  গ্লসী কোট'' ?
                  মুখে দেবী তোরা  কী  লাগাস মা ?
                                  দাখিনি তো চোখে -চশমা ?
                দেবীদের সাজগোজ পোশাক-আশাক
                                          বেশ পরিপাটী ,
                  কোনদিন ই  পায়ে দেবীরা
                                    পড়েন না কেন চটী  ?
     শ্রী শ্রী ভগবান -
            করুন তো  অমূল্য জ্ঞানদান !


তোমার পূজায় লাগে  একই পুষ্প-চন্দন-ধূপ ,
                 তবে তোমার কেন এত নানা-রূপ ?
মনুষ্য মূল্যবোধের, ভালোবাসার এক ই কথা লেখা
                  পবিত্র গীতা-বাইবেল-কোরাণে ,
         ভেদাভেদ কেন দেখি তবে মোরা যীশু-আল্লা-ভগবানে ?
     মন্দির- গীরজা -মসজিদ- কেন ভিন্নজাতি র  পুণ্যধাম ?
          পুজারীরাও ভিন্ন-ভিন্ন
                                 পুরহিত, পাদ্রী কিম্বা ইমাম ?
ধরম্মের নেশায় কেন মোরা  হোয়ে আছি বুদ -
    সবার ই তো একই লক্ষ্য    শান্তী ও আত্মশুদ্ধী-
        তবে কেন এক ই রোগে  ভিন্ন   ঔষদ-কবিরাজ-বদ্দী ?
অবুঝ বোলে ই কী এত কৌতুহল ?
          একই পিপাশায় জীবন কেন চায়-
                 পানী ,কোথা ও  বা  জল  ?
ধরম্ম কোরেছে ভাগভাগি         ঐ হিন্দু - মুষলমান ,
   দুজনার ই রক্ত  লাল ,কেন তবে  ভগবান ?
স্রষ্ঠা তুমি , স্থীতি তুমি , তুমিই প্রলয় ,
               জীবের পুজাই তো ঈশ্বর পূজা হয়  !
ভেদাভেদ-অহংকার অজ্ঞ্তার অন্ধ্যকারে ,
                ক্ষমা করো কেন  ঐ শয়তানেরে ?


ভগবান , তোমার  ঘুম পেয়েছে ,
                     হোচ্ছে ভীষণ কশ্ট ,
যাও শুয়ে পড়,  কোরোনা নীদ্রা নস্ঠ !


তোমার নিয়মে                                        
   ভোরের সূরয্য আজো পুবেতেই  ওঠে -
        শষ্য শ্যামল ধরিত্রী তে  কত শত ফুলফোটে ,
               বাচার আশায় জীবনের পাখী  
                                খড়-কুট নেয় ঠোটে !
পরম বিশ্বের অণু-পরমাণু তে তোমার অবস্থান-
              নীরাকার বা সকার
                    তুমি জীব ও জীবনে বিরাজমান !
এই চিঠিখানা পাঠালাম আমি -
                                   আকাশের ঠিকানা তে ,
        আশীরবাদটা    সবারেই  দিও-
                    রেখোনা অপেক্ষা তে   !!