পাগোল কবির কবিতা লেখা-লেখি
         বুঝি  আর হোল না ,
ইচ্ছে ছিল কবি হবো –
           সেটা হওয়া আর হোল না ,হোল না !
শুনি যে ,কবি হওয়ার ব্যাপক হ্যাপা-
             কবিরা নাকী একটু ক্ষ্যাপা ,
চোখ দুটি চাই লাললাল  ,
              টোপাটোপা গাল ;
    চোখের তলায় কালী –
              ‘ ডেমিন জীন্সএ’’  চাই জোরা- তালি ;
কাঁধে ঝোলা- ব্যাগ ,
                     তাতে ‘ নাইকে ’র ট্যাগ ;
উড়ুউড়ু লম্বা চুল ,
           মেজাজটা  ভীষণ ‘কুল ’ ;
চোলবে হবে দুলেদুলে ,
      অহংকারে থাকবে সদাই
         ফুলকো-লুচীর মতো ফুলে ;
সমালোচনা না-পসন্দ ,
                     শুনেই রাগে উঠবে জ্বলে !
নব্য কবির এসব নিয়ম –
            আছে আধুনিক কবিদের ইস্কুলে ,
আমরা বোকা প্রাচীণপন্থী
                   পরেছি বেজায় মুশকীলে !


কবি পাগোল ,  ভেবে মরে-
               এসব হবো কেমন কোরে ?
আধুনিক কাক কী কোকিল সেজে -
                               বসন্তের গান গাইতে পারে ?
   তাইতো আমি      এক অনামির-
                      কবি সাজা আর হোল না ,হোল না-
            আধুনিক কবিতা লেখার
                                  নেই কোন মোর বাসনা !
    কবিতা লিখতে কলম লাগে-
                         লাগে খাতার সাদা পাতা ,
  স্বপ্ন দেখার শুধু চোখ-দুটি লাগে-
                       মোনেতে  চিন্তার কল্প-ক্ষমতা !
কবিতায় হয় পাগোল নেশা,  
      হোক না  কবিতা একটু মাতাল -
                              খানিক টা দিশেহারা ,
       চোখ বুজে আজো  ছন্দ   খুঁজি ,
                           আমায় খোজে  কবিতারা !


কবিতা আমার  তৃষ্ণা র জল – কবিতা আমার মায়া ,
  কবিতা আমার শীতের চাদর –
                                 ক্লান্তির তরুছায়া !
পাগোল পাগোল লাগে এখন-
        কবিতা গড়া হয় না যখন -
              উলটো-পালটা হাবিজাবি সব ছন্দ শুধু ভাবি ,
কবিতা লিখি শুধু নিজের জন্য-
                    নাইবা হোলাম কবি !!