আমি সেই মেয়ে, পারু-
                             পারুল  পাড়ুই বা  PP ,
      খুব রোগা ,আজও বন্ধুরা খ্যেপায়-
বলে ,  পাতলা পাঁপড় পাP !
  এই মেয়ের যা কিছু শেখা-
             লড়াকু বাবাকে  দেখে ,
                    দুহাত দিয়ে,  দারিদ্র কে ঠেকিয়ে রেখে,
            ভাবতো বোধ হয় ,   সুদিন আসছে-
                স্বপ্ন দেখতো আমার দুটি চোখে ,
জড়িয়ে বুকে বাবা বলতেন-
     “ এগিয়ে যা মা ,
                       একদিন ঠিক পৌঁছবি লক্ষ্যে !


  নিষ্ঠুর পরিহাসে- সেই বীভৎস সকালে ,
                 বিধাতার অভিশাপ লেখাছিল আমার কপালে !
   এক পথ দুর্ঘটনা, পিষে দিয়ে গেল নিরীহ ভালোমানুষটিরে ,
                       নিয়ে গেল কেড়ে , আমার পিতারে ;
আমি সেই মেয়ে-      
         জানি না কি করে,
                     ঠিক এক দিন পরে ,
     পিতৃহারা অভাগিনীর বেশে , পৌছে ছিলাম-
                   উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে -
         "                          পরীক্ষার হল-ঘরে ;
                      স্মরণে এসেছিল শুধু-
                                      স্বামীহাঁরা মা জননীরে !
সেদিন আমার চোখে ছিল সাহারার ঊত্তাপ-
                 শুষে নিয়েছিলো চোখের জল সবটুকু-
                     রুখে ছিলো সব শোক-তাপ !


দশটি বছর পরেও আমি সেই মেয়ে ,
            বিধাতার লুকোচুরি খেলা-
                           শুধু  অবহেলা -
              সমানে চোলেছে , আমাদের নীয়ে ,
সমুদ্রের ঢেউ যেন-সময়
  সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে-
                       কিছুতো দিয়েছে ফিরায়ে,
দশটি বছর পরে ,
আমি শিক্ষিকা – P.P ( বাংলা ) ,
              ‘ সুরবালা বালিকা বিদ্যালয়ে!'


     বিশ্ব নারীদিবস ,সেদিন
                  স্কুলের অনুষ্ঠানে-
             শুরু হোল দিদিমণিদের গানে ,
                       সবাই মিলে , পাশাপাশি হাত ধোরে ,
" যদি তোর ডাক শুনে কেউ  না আসে -
                       তবে একলা চলো রে !!"