একটা চিঠি ,
         সাদামাটা খামে আঁটা ,
  ধানখেতের মাটিকে  লিখেছ-
                        বৃষ্টির  ফোঁটা !
‘ ডিয়ার  মাটি ,    
   '    কি  করলি এটা ?
             জানাসনি তো   বিয়ের খবরটা ,
শ্রাবণকে বিয়ে কোরে
           গিয়েছিলি  হানিমুনে ,
                  ধান খেতের আল ধোরে , গোপনে !


অবশ্য আমিও  ছিলাম না এদেশে ,
    লিভ টুগেদার করছি ,
       বর্ষার মেঘ ও আমি একসাথে-মিলেমিশে !


হ্যাঁরে মাটি,
        পেয়ে নববধূরে ,
              শ্রাবণও লুটোপুটি খায়নি কি-
           কাঁদামাখা জলেতে ?
     ধানের অঙ্কুর মোড়াণো মাটীর  শয্যাতে  !


অঙ্কুরের ঘ্রাণে , প্রাণের বন্ধনে
                     তোর গর্ভে এল ধান ,
                          নবান্নের  স্নেহের সন্তান !
আল বেয়ে ,
        আউশগ্রাম ধানেরখেতে
মঙ্গল কুলো মাথায় লোয়ে ,উলু দিয়ে -
           বরণ করে নেবে -
                তোর সন্তানেরে , অঘ্রাণে ,
                      নবান্নের গান গেয়ে ! '
            ভালো থাকিস ও বুকে  ধরিস আমারে ,
                মাটি তুই শ্রাবণেরর নববধূ-
        গর্বিতা মাতা তুমি  ধন -ধান্যে,  অঘ্রাণে –
               আকাশ বাতাস মাতোয়ারা-
                          নবান্নের ঘ্রাণে !!


                 মাটিরে শুভেচ্ছা- এটা ,
                         ইতি --বৃষটির ফোটা-----------------------------